কারখানায় দুর্ঘটনা রোধে প্রস্তুতি থাকতে হবে: এফবিসিসিআই’র আলোচনা

স্টাফ রিপোর্টার

আগামী ২০২৬ সালে এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের পর কমপ্লায়েন্স ছাড়া কোনো শিল্পপ্রতিষ্ঠান বা কারখানা ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবে না। তাই কারখানায় দুর্ঘটনা রোধ এবং নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিতকরণের বিকল্প নেই।

বৃহস্পতিবার (২২ জুন, ২০২৩)ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা।

রাজধানীর মতিঝিলে এফবিসিসিআই ভবনে ‘দ্য ইম্পর্টেন্স অব সেফ ওয়ার্কপ্লেস ইনক্লুডিং কেমিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রিক্যাল সেফটি’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এফবিসিসিআইর সহসভাপতি এম এ মোমেন বলেন, অগ্নিকাণ্ড সবসময়ই একটি বড় ঝুঁকি। আগুন কখনও বলে-কয়ে আসবে না। এর হাত থেকে বাঁচতে সব ধরনের প্রস্তুতি রাখতে হবে। কারখানা মালিক ও কর্মীদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে।

শিল্প উদ্যোক্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, দেশে এখন যত্রতত্র কলকারখানা স্থাপন করার সুযোগ নেই। কারখানা পরিচালনা করতে হলে অবশ্যই অবকাঠামো, অগ্নি, বিদ্যুৎ এবং পরিবেশগত কমপ্লায়েন্স মানতে হবে। সবাইকে সেই প্রস্তুতি নিতে হবে। এ ব্যাপারে এফবিসিসিআই সব ধরনের সহযোগিতা করবে।

এফবিসিসিআইর সহসভাপতি মো. আমিন হেলালী বলেন, বাংলাদেশ এখন মধ্যম আয়ের দেশে উপনীত হচ্ছে। ফলে টেকসই অর্থনীতি, টেকসই শিল্প এসব বিষয় সামনে চলে আসছে। যেখানে কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তা একটি বড় ইস্যু। দুর্ঘটনা রোধ এবং নিরাপত্তার জন্য ব্যয় করাকে বাড়তি খরচ হিসেবে না দেখে বরং বিনিয়োগ হিসেবে বিবেচনা করতে হবে।

জার্মান উন্নয়ন সংস্থা জিআইজেডের উপদেষ্টা এস এ এম হুসেইন বলেন, নিরাপত্তাবিষয়ক প্রশিক্ষণ কেবল কারখানার নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে না। এটি অর্থনীতিকেও নিরাপদ করবে। কর্মীদের নিরাপদ রাখবে।

মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইর পরিচালক হাফেজ হারুন, আবু হোসেন ভূঁইয়া, এফবিসিসিআইর সেফটি কাউন্সিলের উপদেষ্টা আবু নাঈম মো. শাহিদউল্লাহ, এফবিসিসিআইর অগ্নিনিরাপত্তা, দুর্যোগ ও বিস্ফোরণ সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মো. নিয়াজ আলী চিশতি প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *