কানাডায় তেলবীজ উৎপাদন বাড়ার পূর্বাভাস
২০২২-২৩ বিপণন মৌসুমে কানাডায় তেলবীজ উৎপাদন বাড়ার পূর্বাভাস মিলেছে। দীর্ঘ খরার প্রভাব কাটিয়ে উঠছে দেশটির কৃষি খাত। আবহাওয়ার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করায় আবাদ বাড়িয়েছেন দেশটির কৃষকরা। এ কারণেই বিশ্লেষকরা তেলবীজ উৎপাদন বাড়ার সম্ভাবনা দেখছেন।
সম্প্রতি মার্কিন কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) ফরেন এগ্রিকালচারাল সার্ভিস গ্লোবাল এগ্রিকালচারাল ইনফরমেশন নেটওয়ার্ক শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়, ২০২২-২৩ মৌসুমে কানাডায় তেলবীজ উৎপাদন ৩৫ শতাংশ বাড়তে পারে। এর আগের মৌসুমে খরার আঘাতে উৎপাদন তলানিতে নেমে গিয়েছিল।
মৌসুম শেষে প্রাক্কলিত উৎপাদন ২ কোটি ৫৭ লাখ টনে পৌঁছতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে ক্যানোলা, সয়াবিন ও সূর্যমুখী তেলবীজ। তবে উৎপাদন বৃদ্ধিতে প্রধান ভূমিকা পালন করবে ক্যানোলা।
তথ্য বলছে, গত বছর ভয়াবহ খরায় কানাডায় ক্যানোলা উৎপাদনে ধস নেমেছিল। ২০২০-২১ বিপণন মৌসুমে দেশটির প্রতি হেক্টর জমিতে ২৩ লাখ ৪০ হাজার টন ক্যানোলা উৎপাদন হয়। কিন্তু গত বছর উৎপাদন কমে হেক্টরপ্রতি ১৪ লাখ টনে নেমে যায়। তবে ২০২২-২৩ মৌসুমে পরিস্থিতি ইতিবাচক দিকে মোড় নেবে।
বর্তমানে তেলবীজের বৈশ্বিক চাহিদা শক্তিশালী। মূলত বৈশ্বিক রফতানিযোগ্য সরবরাহের অভাবেই চাহিদা বাড়ছে লাফিয়ে। কিন্তু কানাডার রফতানি চাহিদা অনুযায়ী বাড়ার সম্ভাবনা নেই। কারণ দেশটিতে তেলবীজের সরবরাহ কমে গিয়েছে। ফলে রফতানির পরিবর্তে স্থানীয় বাজারে তেলবীজ সরবরাহকেই গুরুত্ব দিচ্ছে দেশটির সরকার।
তথ্য বলছে, চলতি বছরের শুরুতে ক্যানোলা অয়েলের মজুদ পাঁচ বছরের গড় পরিমাণের তুলনায় ৭০ শতাংশ নিচে অবস্থান করবে বলে পূর্বাভাস মিলেছিল।