কমেছে মোটা চালের দাম

স্টাফ রিপোর্টার

শষ্যভান্ডার খ্যাত উত্তরের জেলা নওগাঁয় আমনের ভরা মৌসুম এখন। গত ১৫ দিনে মোটা চালের (স্বর্ণা-৫) দাম কেজিতে ২-৩ টাকা কমলেও সরু চালের বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। মোটা জাতের চাল বাজারে আসায় কেজিতে ২-৩ টাকা কমেছে। তবে সরু চালের দাম যেন আকাশছোঁয়া। কয়েক দফা সরু চালের দাম বাড়ার পর এখন স্থিতিশীল রয়েছে। চালের দাম না কমায় ভোক্তাদের দুশ্চিন্তাও যেন কমছে না।

নওগাঁ পৌর ক্ষুদ্র চাল বাজার সূত্রে জানা যায়, মোটা জাতের চাল (স্বর্ণা-৫) কেজিতে ২-৩ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে প্রকারভেদে ৫০-৫২ টাকায়। এছাড়া সরু জাতের চাল ব্রিআর-২৮ ও ২৯ বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকায়, জিরাশাইল ৬৫-৭৮ টাকা, কাটারি সর্টার ৭০-৭৫ টাকা। এছাড়া সুগন্ধি চিনিগুড়া নতুন জাতের চাল প্রতিকেজি ১১০-১২০ টাকা।

প্রাকৃতিক দূর্যোগ না থাকায় এ বছর আমন ধানের ভালো আবাদ হয়েছে। আমনের ভরা মৌসুমে মোটা চালের দাম কিছুটা কমলেও সরু চালের দাম কমছে না। ভোক্তাদের দাবি চালের দাম কিছুটা কমানো হোক।

খুচরা চাল ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজার প্রায় ক্রেতাশূন্য হওয়ায় ব্যবসায় মন্দা চলছে। একান্ত প্রয়োজন ছাড়া ক্রেতারা চাল কিনছেন না। আর কিনলেও খুবই সামান্য।

খুচরা চাল ব্যবসায়ী আক্কাস আলী বলেন, মোটা জাতের (স্বর্ণা-৫) চালের দাম কেজিতে ২-৩ টাকা কমলেও সরু চালের বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। যেহেতু কৃষকের ঘরে ধান উঠছে তাই বেশিরভাগই চাল কিনতে বাজারে আসছে না। এ কারণে বাজারে ক্রেতা কম থাকায় বেচাকেনাও কম হচ্ছে।

বিদ্যুতের লাইনের কাজ করতে দিনাজপুর থেকে নওগাঁয় এসেছেন শ্রমিক সোহেল রানা। তিনি বলেন, মোটা চাল স্বর্ণার দাম একটু কমেছে। ৫০ টাকা কেজিতে ৫ কেজি চাল কিনেছি। তবে সরু চালের দাম এখনো কমেনি। কষ্ট হলেও মোটা চালের ভাত খেতে হবে। তবে চাল যেহেতু নিত্যপ্রয়োজনীয়, দাম কমলে সবার জন্যই ভালো হবে।

নওগাঁ চাউল কল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন চকদার বলেন, এখন আমনের ভরা মৌসুমে কৃষকের ঘরে ধান মজুত রয়েছে। বাজারে কম পরিমাণ ধান বেচাকেনা হচ্ছে। নতুন ধানের চাল বাজারে এলে দাম আরো কমবে।

নওগাঁ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এ বছর ১ লাখ ৯৬ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদের হয়েছে। এই পরিমাণ জমি থেকে ৯ লাখ ৩২ হাজার ২১৫ মেট্রিক টন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *