কফি রফতানিতে দ্বিতীয় শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে ভিয়েতনাম
সদ্যবিদায়ী বছরে কফি রফতানি করে ৩০০ কোটি ডলারেরও বেশি অর্থ আয় করেছে ভিয়েতনাম। কভিড-১৯ মহামারীর প্রভাব সত্ত্বেও দেশটি বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ কফি রফতানিকারক দেশের তকমা ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে। শিল্পসংশ্লিষ্টরা এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর ভিয়েতনামপ্লাস।
ভিয়েতনাম কফি অ্যান্ড কোকো অ্যাসোসিয়েশন (ভিকোফা) জানায়, ২০২১ সালে ভিয়েতনামের কফি রফতানি খাত বড় ধরনের সমস্যার মুখে পড়ে। লকডাউন, পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধি, কনটেইনার সংকট, জাহাজ ভাড়া বেড়ে যাওয়াসহ নানা প্রতিবন্ধকতায় রফতানি ছিল নিম্নমুখী। কিন্তু এর পরও দেশটি বিশ্ববাজারে দ্বিতীয় শীর্ষস্থান ধরে রাখতে পেরেছে।
কফি ভিয়েতনামের ছয় কৃষিপণ্যের অন্যতম একটি, যা দেশটিতে প্রতি বছর ৩০০ কোটিরও বেশি বৈদেশিক আয় এনে দেয়। বর্তমানে ৮০টিরও বেশি দেশ ও ভূখণ্ডে ভিয়েতনাম কফি রফতানি করছে। এর মধ্যে দেশটির প্রধান রফতানি বাজার ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, জাপান ও যুক্তরাজ্য।
আগামী ১০ বছরের মধ্যে কফি রফতানি থেকে ৫০০-৬০০ কোটি ডলার আয়ের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ভিকোফার। ঊর্ধ্বমুখী দামের সুবিধা পেতে কফি বিনের পরিবর্তে পরিশোধিত ও প্রক্রিয়াজাত কফি রফতানিতে দেশটি মনোযোগ বাড়াবে বলে জানানো হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির তথ্যমতে, ভিয়েতনামে ৯৭টি কফি প্রক্রিয়াকরণ অবকাঠামো রয়েছে। এসব অবকাঠামো ১৭ লাখ টন কফি প্রক্রিয়াকরণ সক্ষমতাসম্পন্ন।
ভিকোফা বলছে, প্রতি টন প্রক্রিয়াকৃত কফির বর্তমান বাজারদর ৩ হাজার ৬০০ ডলার। অথচ কফি বিনের দাম টনপ্রতি মাত্র ২ হাজার ৪০০ ডলার। বর্তমানে ভিয়েতনাম কফি বিনই সবচেয়ে বেশি রফতানি করে। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য কোম্পানিগুলোকে কফি বিনের পরিবর্তে প্রক্রিয়াজাত কফি রফতানিতে উৎসাহিত করা হচ্ছে।