ওয়ালটনের বিরুদ্ধে অপপ্রচার: দেশীয় শিল্পের সফলতার পথে ষড়যন্ত্রের ছায়া!

স্টাফ রিপোর্টার

বাংলাদেশের ইলেকট্রনিক্স, ইলেকট্রিক্যাল ও হাই-টেক শিল্পকে স্বনির্ভর করার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে ওয়ালটন। দেশীয় শিল্পের বিকাশে প্রতিষ্ঠানটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে, যা বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় এবং রপ্তানি বৃদ্ধিতে সহায়ক হচ্ছে। দেশীয় প্রযুক্তি উন্নয়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে ওয়ালটন দেশের উন্নয়নে অনন্য অবদান রেখে চলেছে।

তবে সম্প্রতি ওয়ালটনের বিরুদ্ধে কিছু ব্যক্তি মানববন্ধন করেছেন এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর প্রচারণা চালাচ্ছেন। ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ মনে করে, এসব প্রচারণা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং দেশীয় শিল্পের সুনাম ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টা মাত্র। কিছু স্বার্থান্বেষী মহল পরিকল্পিতভাবে বিদেশি পণ্য আমদানির সুযোগ তৈরি করতে দেশীয় প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে।

অভিযোগ ভিত্তিহীন ও পরিকল্পিত: ওয়ালটন

ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ জানায়, তাদের বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং পরিকল্পিত। প্রতিষ্ঠানটি দাবি করেছে, কিছু ডিলার ও ডিস্ট্রিবিউটর পূর্বে বাকিতে পণ্য নিয়ে বিক্রির পর পাওনা অর্থ পরিশোধ করেননি। তারা ওয়ালটন থেকে নেওয়া পণ্যের বিক্রির অর্থ অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছেন বা এমন খাতে বিনিয়োগ করেছেন যেখানে প্রত্যাশিত আর্থিক সাফল্য আসেনি। বর্তমানে তারা নানা অজুহাত দেখিয়ে ওয়ালটনের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলছেন এবং বিভ্রান্তিকর প্রচারণা চালাচ্ছেন, যা মূলত বকেয়া অর্থ পরিশোধ এড়ানোর একটি কৌশল।

ওয়ালটন আরও জানায়, তাদের সাথে ব্যবসা করে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কোনো নজির নেই। বরং হাজার হাজার ডিলার ও ডিস্ট্রিবিউটর দীর্ঘদিন ধরে সফলভাবে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। নতুন ডিলারশিপের জন্যও বিপুলসংখ্যক আবেদন জমা পড়েছে, যা প্রতিষ্ঠানটির ব্যবসায়িক স্বচ্ছতা এবং গ্রহণযোগ্যতারই প্রমাণ।

দেশীয় শিল্পের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র

ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ মনে করে, বাজেট ঘোষণার কয়েক মাস আগে থেকেই কিছু স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী দেশীয় শিল্পকে হুমকির মুখে ফেলতে সক্রিয় হয়ে ওঠে। বিদেশি পণ্যের বাজার সম্প্রসারণের জন্য পরিকল্পিতভাবে দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হয়।

ওয়ালটন জানায়, “প্রতিবছর বাজেট ঘোষণার আগে এ ধরনের মিথ্যা প্রচারণা আমরা লক্ষ্য করি, এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।” প্রতিষ্ঠানটি মনে করে, এসব অপপ্রচার শুধু ওয়ালটনের জন্য নয়, বরং দেশের সামগ্রিক অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানের ওপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

ওয়ালটনের আহ্বান

ওয়ালটন তাদের অগণিত গ্রাহক, শুভানুধ্যায়ী এবং অংশীদারদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, এসব বিভ্রান্তিকর অপপ্রচারে কান না দেওয়ার জন্য। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, যদি কোনো ডিলার বা ডিস্ট্রিবিউটর ওয়ালটনের কোনো বিক্রয় প্রতিনিধি কর্তৃক ক্ষতিগ্রস্ত হন, তবে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ সরাসরি যোগাযোগ করার সুযোগ রয়েছে।

ওয়ালটন দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, ক্রেতা, বিক্রেতা এবং নীতিনির্ধারকরা এসব অপতৎপরতা সম্পর্কে সচেতন থাকবেন এবং দেশীয় শিল্পের বিকাশে আগের মতোই সহযোগিতা অব্যাহত রাখবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *