এশিয়ার নবায়নযোগ্য জ্বালানি বাজারে চীনের প্রভাব বাড়ছে

স্টাফ রিপোর্টার

এশিয়ার উন্নয়নশীল দেশগুলোয় নবায়নযোগ্য জ্বালানি বাজারে প্রভাব বাড়াচ্ছে চীন। এজন্য কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পগুলো বন্ধ করছে। পাশাপাশি কার্বন নিঃসরণ করে এমন বিনিয়োগ থেকে সরে এসেছে দেশটি। সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবর নিক্কেই এশিয়া।

গত এক দশকে চীনা কোম্পানিগুলো জ্বালানি খাতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। বিদেশে ১২৮ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করেছে। এর বিনিয়োগ মূল্য ২০ হাজার কোটি ডলার। এটা অস্ট্রেলিয়ার বিদ্যমান বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতাকে ছাড়িয়ে গেছে। এ বিদ্যুৎ সরবরাহ বৃদ্ধির তিন-চতুর্থাংশ এশিয়ায় ঘটেছে। এর মধ্যে পাকিস্তান, ভিয়েতনাম ও ইন্দোনেশিয়া রয়েছে।

প্রকাশিত প্রতিবেদনে গত তিন বছরে একটি উল্লেখযোগ্য প্রবণতা দেখানো হয়েছে। যেখানে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বহু কয়লা প্রকল্পে চীনা কোম্পানির বিনিয়োগ স্থগিত করা হয়েছে। পর্যবেক্ষণ করা ৪৮১টি জ্বালানি প্রকল্পের মধ্যে ৩৩টি কয়লা প্রকল্প ১৫ শতাংশ অসম্পূর্ণ ছিল। এটা পরিকল্পিত ৫৪ গিগাওয়াট সক্ষমতার ৬১ শতাংশ।

২০২১ সালে নতুন করে বিদেশী কয়লা প্রকল্পে অর্থায়ন বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চীন। পাশাপাশি কয়লা প্রযুক্তি রফতানি থেকে দূরে সরে আসার সিদ্ধান্তও নিয়ে রেখেছে। সবুজ জ্বালানি শক্তির প্রযুক্তি এবং সরঞ্জাম রফতানিতে চীন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে। বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ থেকে শিক্ষা নিয়ে চীনা কোম্পানিগুলো বিদেশী বিনিয়োগে আরো দক্ষ হয়ে উঠছে। চীনা কোম্পানিগুলো তাদের বিদেশী বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কৌশলের অংশ হিসেবে উন্নয়নশীল দেশগুলোর স্থানীয় সরকারের সঙ্গে প্রকল্পবিষয়ক আলোচনা জন্য স্থানীয় অংশীদার খুঁজতে কাজ করে যাচ্ছে।

একদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলো চীনা পণ্যের ওপর নির্ভরতা কমাচ্ছে। অন্যদিকে উন্নয়নশীল দেশগুলোর বাজারে চীনা প্রযুক্তি সরবরাহকারীদের কার্যক্রম বাড়ছে। সাশ্রয়ী মূল্যে চীনা সরঞ্জাম ও প্রযুক্তি পাওয়ায় এটা সম্ভব হচ্ছে। ফলে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য নবায়নযোগ্য জ্বালানি তৈরি করা সহজ হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *