এলএমইতে রুশ অ্যালুমিনিয়ামের মজুদ দাঁড়িয়েছে ৯০ শতাংশে

স্টাফ রিপোর্টার

লন্ডন মেটাল এক্সচেঞ্জ (এলএমই) অনুমোদিত গুদামগুলোয় ডিসেম্বরে রুশ অ্যালুমিনিয়ামের মজুদ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯০ দশমিক ৪ শতাংশে। এর আগের মাসে যার পরিমাণ ছিল ৭৮ দশমিক ৮ শতাংশ। এলএমইর ওয়েবসাইটে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। খবর রয়টার্স।

ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে মস্কোর ওপর আরোপিত বৃহত্তর নিষেধাজ্ঞার অংশ হিসেবে গত ১৫ ডিসেম্বর থেকে রুশ অ্যালুমিনিয়াম বাণিজ্য নিষিদ্ধ করেছে যুক্তরাজ্য। এর প্রভাবে এলএমইতে রুশ নাগরিকদের মালিকানায় থাকা ধাতুটির মজুদ বেড়েছে। স্পট মার্কেটে চাহিদা কমাসহ ফিউচার মার্কেটে রুশ অ্যালুমিনিয়াম বাণিজ্যে নিষেধাজ্ঞা ধাতুটির মজুদ বাড়াতে সহায়ক হয়েছে।

এক বিশ্লেষক বলেছেন, ‘লোকেরা রুশ অ্যালুমিনিয়ামের মজুদ ধরে রাখা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে।’ এলএমইর নিবন্ধিত গুদামগুলোয় থাকা অ্যালুমিনিয়ামকে অন-ওয়ারেন্ট হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ওয়ারেন্ট হচ্ছে ধাতুটির মালিকানার প্রমাণপত্র। বিশ্বের প্রাচীনতম এক্সচেঞ্জ ও বৃহত্তম মেটাল মার্কেটের তথ্য বলছে, নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর এলএমইতে রাশিয়ার প্রকৃত ওয়ারেন্টের পরিমাণ বেড়েছে ৭৪ শতাংশ।

এলএমই জানিয়েছে, ‘রুশ ধাতুর ওপর সাম্প্রতিক যুক্তরাজ্য সরকারের নিষেধাজ্ঞার ফলে বাজারে সরবরাহ ব্যবস্থাপনায় কী ধরনের প্রভাবে পড়ে তা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। ডিসেম্বরে রুশ ধাতুটির গুদামজাতকরণ প্রবণতা বেড়েছে।’

তথ্য বলছে, নভেম্বরে এলএমইতে রুশ ওয়ারেন্টে অ্যালুমিনিয়াম মজুদ ছিল ১ লাখ ৫৪ হাজার ৭৭৫ টন। ডিসেম্বরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৫৪ হাজার ৭৭৫ টনে।

এলএমইর গুদামগুলোয় রুশ অ্যালুমিনিয়ামের মজুদ বৃদ্ধি কিছু উৎপাদকের জন্য উদ্বেগের বিষয়। বিশেষ করে যারা রাশিয়ার অ্যালুমিনিয়াম রুসালের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে এবং কিছু পশ্চিমা ভোক্তা, যারা ২০২২ সালে মস্কোর ইউক্রেন আক্রমণের পর থেকে রুশ ধাতু এড়িয়ে চলেছে।

এদিকে লন্ডন মেটার এক্সচেঞ্জ অন্যান্য রুশ ধাতুর মজুদও বেড়েছে। নভেম্বরের ৪০ শতাংশের তুলনায় ডিসেম্বরে রুশ তামার মজুদ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৩ শতাংশে। তথ্যমতে, নভেম্বরে এলএমই অনুমোদিত গুদামে ৫৫ হাজার ৮২৫ টন তামা মজুদ ছিল। গত মাসে তা বেড়ে উঠেছে ৫৯ হাজার ৭২৫ টনে।

অন্যদিকে এলএমইর গুদামগুলোয় রুশ নিকেলের মজুদ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১ শতাংশে। নভেম্বরে যার পরিমাণ ছিল ২৬ শতাংশে। ডিসেম্বরে নিকেলের মজুদ উঠেছে ১৭ হাজার ৭৭২ টনে। আগের মাস নভেম্বরে যা ছিল ১১ হাজার ১০৬ টন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *