এবার করোনায় মারা গেলেন রিয়াল সভাপতি

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আগেই ধরা পড়েছিল তাঁর শরীরে। রাখা হয়েছিল হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে। তাঁর আরোগ্য কামনায় প্রার্থনায় ছিল স্প্যানিশ ফুটবল। কিন্তু লরেঞ্জো সাঞ্জকে ফেরানো গেল না। কাল মারা গেছেন রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক এ সভাপতি।

৭৬ বছর বয়সী এ ব্যবসায়ীকে বুধবার হাসপাতালে ভর্তির কথা জানিয়েছিলেন তাঁর ছেলে ফার্নান্দো সাঞ্জ। এর আগে জ্বরে ভুগেছেন বেশ কিছুদিন। ফার্নান্দো তাঁর বাবার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন টুইটারে, ‘আমার বাবা মারা গেছেন। তাঁর এভাবে চলে যাওয়ার কথা ছিল না। আমার দেখা অন্যতম দয়ালু, সাহসী ও কঠোর পরিশ্রম করা মানুষটি চলে গেলেন। পরিবার এবং রিয়াল মাদ্রিদ ছিল তাঁর ভালোবাসা।’

রিয়াল মাদ্রিদের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘রিয়াল মাদ্রিদ এবং বোর্ড পরিচালকরা অত্যন্ত দুঃখ ও শোকের সঙ্গে জানাচ্ছে, লরেঞ্জো সাঞ্জ মারা গেছেন। তিনি ১৯৯৫ থেকে ২০০০ পর্যন্ত রিয়াল মাদ্রিদের সভাপতি ছিলেন। আমরা শোকাহত এমন এক সভাপতির জন্য, যিনি জীবনের একটা বড় অংশ নিংড়ে দিয়েছিলেন রিয়ালের জন্য। এই অবস্থায় রিয়াল যত দ্রুত সম্ভব তাঁকে প্রাপ্য মর্যাদা দেওয়ার চেষ্টা করবে।’

১৯৮৫ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত টানা ১০ বছর ক্লাবের পরিচালক ছিলেন। র‌্যামন মেন্দোজার পর ১৯৯৫ সালে তিনি রিয়ালের সভাপতি হন। তাঁর অধীনে রিয়াল একবার করে লিগ ও সুপার কাপ আর দুবার চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছে। সাঞ্জের অধীনে অন্যতম সেরা ক্লাবের মর্যাদা পুনরুদ্ধার করে রিয়াল। ৩২ বছরের খরা কাটিয়ে ১৯৯৮ ও ২০০০ সালে চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছিল তারা।

সাঞ্জ যখন রিয়ালের সভাপতি হলেন, ক্লাবের তখন অর্থনৈতিক দুর্দশা। তা সত্ত্বেও নিজ পকেটের টাকা দিয়ে ভ্যালেন্সিয়ার তারকা সার্বিয়ান স্ট্রাইকার প্রেদ্রাগ মিয়াতোভিচ ও সেভিয়ার তারকা ক্রোয়েশিয়ান স্ট্রাইকার ডেভর সুকারকে কিনতে চেয়েছিলেন তিনি। পরে দুজনকেই পেয়েছিলেন।

সাঞ্জের মৃত্যুতে মিয়াতোভিচ বলেন, ‘সাঞ্জ আমাকে তাঁর ছেলের চোখে দেখতেন। এটা আমার জন্য অন্যতম দুঃখের রাত।’ রিয়ালের সাবেক অধিনায়ক ইকার ক্যাসিয়াসের টুইট, ‘শান্তিতে ঘুমোন সভাপতি। এই কঠিন সময়ে তাঁর পরিবার ও বন্ধুদের সমবেদনা জানাই। এই মরণভাইরাসে যাঁরা চলে গেছেন, তাঁদেরও স্মরণ করছি।’

স্পেনে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত মানুষের সংখ্যা ১ হাজার ৩২৬। এর মধ্যে এক দিনেই মৃত মানুষের সংখ্যা ৩২৪।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *