এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে বেড়েছে আমানত-ঋণ বিতরণ
এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের সব সূচকই ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। এ সেবায় বেড়েছে আমানতের পরিমাণ ও ঋণ বিতরণ। একই সঙ্গে বেড়েছে হিসাব সংখ্যাও। বাংলাদেশ ব্যাংকের সবশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব চিত্র উঠে এসেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন বলছে, সদ্য বিদায়ী ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর শেষে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে মোট হিসাবধারীর সংখ্যা ছিল ২ কোটি ৩৪ লাখ ৮৯ হাজার ১০৯টি। তিন মাস পর অর্থাৎ ডিসেম্বর শেষে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে হিসাবধারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৪০ লাখ ৭৮ হাজার ২৩০টি। সে হিসাবে মাত্র তিন মাসের ব্যবধানে হিসাব বেড়েছে ৫ লাখ ৮৯ হাজার ১২১টি।
গত সেপ্টেম্বর শেষে এজেন্ট ব্যাংকিয়ে আমানতের পরিমাণ ছিল ৩৯ হাজার ৫২৯ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। ডিসেম্বর শেষে আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪১ হাজার ৯৫৫ কোটি ১৪ লাখ টাকা। অর্থাৎ তিন মাসের ব্যবধানে এজেন্ট ব্যাংকিয়ে আমানত বেড়েছে ২ হাজার ৪২৬ কোটি টাকা বা ৬ দশমিক ১৪ শতাংশ।
বিদায়ী বছরের সেপ্টেম্বর শেষে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের আওতায় ঋণ বিতরণের স্থিতি ছিল ২১ হাজার ৯৪ কোটি টাকা। তিন মাস পর ডিসেম্বর শেষে ঋণ বিতরণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ২৪ হাজার ২৮ কোটি টাকা। সে হিসাবে তিন মাসে ঋণ বিতরণের স্থিতি বেড়েছে ২ হাজার ৯৩৮কোটি টাকা বা ১৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ।
সেপ্টেম্বর শেষে এজেন্টব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে প্রবাসী আয় আসার স্থিতি ছিল ১ কোটি ৬ লাখ ৫৬ হাজার ৬৯ কোটি টাকা। যেটা ডিসেম্বর শেষে প্রবাসী আয় আসার স্থিতি দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৭ লাখ ৩৩ হাজার ৯০ কোটি টাকা। তিন মাসে প্রবাসী আয় আসা বেড়েছে ৭ হাজার ৭৩১ কোটি ৯৫ লাখ টাকা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন বলছে, দেশে এজেন্ট ব্যাংকিং গ্রাহকের বড় অংশই গ্রামের মানুষ। আলোচিত সময়ে (সেপ্টেম্বর-ডিসেম্বর) গ্রামে গ্রাহক বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৬১ লাখ ৭৩ হাজার ৪০৫ জন। এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে অ্যাকাউন্টধারীদের মধ্যে নারী গ্রাহকের সংখ্যা এখন ১ কোটি ১৯ লাখ ৮২ হাজার ৬৭৫ জন।
প্রতিবেদন বলছে, গত বছরের সেপ্টেম্বর শেষে এজেন্টের সংখ্যা ছিল ১৬ হাজার ১১টি।ডিসেম্বর শেষে এজেন্টের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ২১টি। সে হিসাবে তিন মাসের ব্যবধানে এজেন্টের সংখ্যা বেড়েছে ১০টি। তাছাড়া সেপ্টেম্বর শেষে আউটলেটের সংখ্যা ছিল ২১ হাজার ৩৬৭টি। তবে ডিসেম্বর শেষে আউটলেটের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২১ হাজার ২৪৮ টি। অর্থাৎ তিন মাসে আউটলেটের সংখ্যা কমেছে ১১৯টি।