একমুঠো ধান-চালও সংগ্রহ হয়নি ধুনটে সরকারি গুদামে

স্টাফ রিপোর্টার

বগুড়ার ধুনটে কৃষকের কাছ থেকে ধান ও মিলারদের কাছ থেকে চাল সংগ্রহ অভিযানের প্রায় দুই মাস হয়ে গেলেও একমুঠো ধান-চাল সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। ২০২২ সালের ১৭ নভেম্বর থেকে ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়েছে। ২৮ ফেব্রুয়ারি এ অভিযান শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা দুটি সরকারি খাদ্যগুদামে কৃষকের কাছ থেকে ৯৪৯ মেট্রিক টন আমন ধান ও মিলারের কাছ থেকে ৪২৭ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ করার কথা। সরকারিভাবে প্রতি কেজি ধানের দাম ২৮ টাকা ও চালের দাম ৪২ টাকা ধরা হয়েছে। কিন্তু রোববার (৮ জানুয়ারি) পর্যন্ত খাদ্যগুদামে একমুঠো ধান চাল সংগ্রহ করতে পারেনি খাদ্য বিভাগ। এ উপজেলায় চলতি মৌসুমে ১৬ হাজার ৮২০ হেক্টর জমিতে ৮৩ হাজার ৩১০ মেট্রিক টন আমন ধান এবং ৫৫ হাজার ৫৪০ মেট্রিক টন চাল উৎপাদিত হয়েছে।

স্থানীয় কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, খাদ্যগুদামে ধান বিক্রি করতে হলে নিবন্ধন, লটারি, আর্দ্রতা যাচাই, পরিবহন খরচসহ নানা রকমের ঝামেলা পোহাতে হয় কৃষকদের। তাই তারা গুদামে ধান দিতে আগ্রহী না। এছাড়া এবার সরকারি মূল্য বাজারের মূল্যের চেয়ে কম হওয়ায় কৃষকেরা খাদ্যগুদামে ধান বিক্রি করতে আসেননি। স্থানীয় বাজারে আমন ধান প্রতি কেজি প্রায় ৩২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এদিকে এ উপজেলার ১৩টি মিলের (চালকল) কোনো মালিক গুদামে চাল সরবরাহের জন্য সরকারের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হননি।

উপজেলা চালকল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলাম বলেন, সরকারি মূল্যের চেয়ে বাজারে ধান-চালের দাম বেশি। এ কারণে গুদামে চাল সরবরাহ করা হলে লোকসান গুনতে হবে। ফলে চাল সরবরাহের জন্য চুক্তিবদ্ধ হইনি। তাই বাজার যাচাই করেই সরকারি গুদামের চালের মূল্য নির্ধারণ করা উচিত।

ধুনট উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আব্দুল মজিদ বলেন, সরকারি খাদ্যগুদামে কত দামে চাল কেনা হবে, সেই দাম নির্ধারণে আমাদের কোনো হাত থাকে না। ঢাকায় এটা নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে হয়ে থাকে। এখন বাজারে চালের দাম বেশি বলে মিলমালিকেরা গুদামে দিচ্ছেন না। এসব মিলমালিকের বিরুদ্ধে নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *