যে কারণে ঋণ কম পাচ্ছেন গ্রামের মানুষ
একক গ্রাহককে একাধিক ব্যাংকের ঋণ দেয়ার প্রবণতা বাড়ছে। ২০১৭ সালের তুলনায় ২০১৮ সালে একক গ্রাহককে একাধিক ব্যাংকের ঋণ দেয়ার প্রবণতা প্রায় চার শতাংশ বেড়েছে। ব্যাংকিং কার্যক্রম শুধু শহরকেন্দ্রিক, যা ব্যাংকিং খাতে বড় ধরনের সমস্যার সৃষ্টি করছে। সেইসঙ্গে ঋণ কম পাচ্ছেন গ্রামের মানুষ।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) এক গবেষণা প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
মঙ্গলবার রাজধানীর মিরপুরে বিআইবিএম অডিটোরিয়াম এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের চট্টগ্রাম অফিসে ‘ক্রেডিট অপারেশনস অব ব্যাংকস’ শীর্ষক বার্ষিক পর্যালোচনা কর্মশালায় গবেষণা প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করা হয়।
কর্মশালার উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও বিআইবিএমের মহাপরিচালক মো. আব্দুর রহিম। তিনি ব্যাংকারদের ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে আরও সতর্ক থাকার ওপর জোরারোপ করেন।
ঋণবিষয়ক এ কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন বিআইবিএমের চেয়ার ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. বরকত-এ-খোদা।
আয়োজনের উদ্দেশ্য বিশ্লেষণের মধ্য দিয়ে ঢাকার বিআইবিএমে অনুষ্ঠানটি শুরু করেন পরিচালক (প্রশিক্ষণ) অধ্যাপক ড. শাহ মো. আহসান হাবীব।
বিআইবিএমের কর্মশালাটি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে একইসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের চট্টগ্রাম অফিস থেকে অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশ ব্যাংক এবং সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকের আঞ্চলিক পর্যায়ের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
ব্যাংকের চট্টগ্রাম অফিসের অডিটরিয়ামে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের চট্টগ্রাম অফিসের নির্বাহী পরিচালক আবু ফরাহ মো. নাছের।
ঢাকায় বিআইবিএম অডিটরিয়ামে উপস্থিত ছিলেন সোনালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এ চৌধুরী, পূবালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বিআইবিএমের সুপারনিউমারারি অধ্যাপক হেলাল আহমদ চৌধুরী, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক ও বিআইবিএমের সুপারনিউমারারি অধ্যাপক ইয়াছিন আলী, সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ প্রমুখ।
কর্মশালায় গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন বিআইবিএমের অধ্যাপক ও পরিচালক (প্রশাসন ও হিসাব এবং গবেষণা, উন্নয়ন এবং পরামর্শ) ড. প্রশান্ত কুমার ব্যানার্জী।
ওই গবেষণা দলে ছিলেন বিআইবিএমের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ সোহেল মোস্তফা, সহযোগী অধ্যাপক অতুল চন্দ্র পন্ডিত, সহকারী অধ্যাপক ড. মো. মোশাররেফ হোসেন এবং মার্কেন্টাইল ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জাকির হোসেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, দেশের ৩২টি ব্যাংকের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি করা হয়েছে। এ প্রতিবেদন তৈরিতে ব্যাংকের কাছ থেকে তথ্য নেয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন ধরনের প্রকাশনা, সার্কুলার ইত্যাদি সেকেন্ডারি তথ্যের সহায়তা নেয়া হয়।
বিআইবিএমের চেয়ার ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. বরকত-এ-খোদা বলেন, গ্রামের মানুষ ঋণ কম পাচ্ছে। এতে অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যাংকিং কম হচ্ছে। সুতরাং বিষয়টি নিয়ে নীতি নির্ধারকদের চিন্তা করতে হবে। কীভাবে সবাইকে ব্যাংকিং সেবার আওতায় আনা যায়।