ঊর্ধ্বমুখী শেয়ারবাজারের মূল্যসূচক
আগের তিন কার্যদিবসের মতো সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস বুধবারও লেনদেনের শুরুতে শেয়ারবাজারে মূল্যসূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের গতি। পাশাপাশি লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার নাম লিখিয়েছে দাম বাড়ার তালিকায়।
প্রথম আধাঘণ্টার লেনদেনে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ২৩ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। এতে প্রধান মূল্যসূচক বেড়েছে ৫ পয়েন্ট। আর লেনদেন হয়েছে ৮০ কোটি টাকার বেশি।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) প্রথম আধাঘণ্টার লেনদেনে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান। তবে এরপরও মূল্যসূচক ঋণাত্মক অবস্থায় রয়েছে। সেই সঙ্গে লেনদেনে ধীরগতি দেখা যাচ্ছে।
মূল্যসূচক বাড়লেও ডিএসইতে দাম বাড়া বা কমার তুলনায় দাম অপরিবর্তিত থাকা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেশি। এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম ফ্লোর প্রাইসে (দাম কমার সর্বনিম্ন সীমা) আটকে রয়েছে। ক্রেতা না থাকায় যাদের কাছে এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট আছে তারা বিক্রি করতে পারছেন না।
এদিন শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হতেই ডিএসই’র প্রধান সূচক আগের দিনের তুলনায় ৪ পয়েন্ট বেড়ে যায়। লেনদেনের শুরুতে দেখা দেওয়া ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা প্রথম আধাঘণ্টাজুড়েই অব্যাহত থাকে।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১০টা ৩৬ মিনিটে ডিএসইতে ৫৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৩৪টির। আর ১৩৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এতে ডিএসই’র প্রধান সূচক বেড়েছে ৫ পয়েন্ট। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক বেড়েছে ১ পয়েন্ট। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক ২ পয়েন্ট বেড়েছে। এ সময় পর্যন্ত ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৮৯ কোটি ৬ লাখ টাকা।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৭ পয়েন্ট কমেছে। লেনদেন হয়েছে ৩৭ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ১৭টির, কমেছে ৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১২টির।