ঊর্ধ্বমুখী জাপানের শিল্পোৎপাদন
নভেম্বরে জাপানের শিল্পোৎপাদন আগের মাসের তুলনায় ৭ দশমিক ২ শতাংশ বেড়েছে। বিশ্বজুড়ে চিপ ঘাটতি ও সরবরাহ চেইনের প্রতিবন্ধকতায় সৃষ্ট মন্দা থেকে পুনরুদ্ধার হচ্ছে গাড়ি উৎপাদন। গতকাল প্রকাশিত সরকারি ডাটায় এ তথ্য উঠে এসেছে। খবর কিয়োদো নিউজ।
অর্থনীতি, বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের একটি প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুসারে, ২০১৫ সালের ১০০ বেসের বিপরীতে ঋতুভিত্তিক সামঞ্জস্য করা উৎপাদন সূচক গত মাসে ৯৭ দশমিক ৭ শতাংশ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এ নিয়ে টানা দ্বিতীয় মাসের মতো দেশটির শিল্পোৎপাদন ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। তবে নভেম্বরের বৃদ্ধি ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে রেকর্ড শুরু হওয়ার পর মাসভিত্তিক সবচেয়ে বড় উল্লম্ফনকে চিহ্নিত করে।
অক্টোবরে এ খাতের উৎপাদন ১ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়েছিল। গত মাসে সবচেয়ে বেশি সম্প্রসারিত হয়েছে গাড়ি শিল্পের উৎপাদন। আগের মাসের তুলনায় উৎপাদন বেড়েছে ৪৩ দশমিক ১ শতাংশ। টানা দ্বিতীয় মাসের মতো অটো শিল্পের এ প্রবৃদ্ধি সামগ্রিক বৃদ্ধিতে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে।
মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, বিশ্বজুড়ে চিপ ঘাটতি এবং কভিডের সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকে যন্ত্রাংশ সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হয়েছে। এসব সংকটের কারণে গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অটোমোবাইল শিল্পে উৎপাদন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। অক্টোবরে যন্ত্রাংশ সরবরাহের ঘাটতি কিছুটা কমতে শুরু করে এবং নভেম্বরে পরিস্থিতি আরো প্রশমিত হয়।
গত মাসে প্লাস্টিক পণ্যের উৎপাদন ৯ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়েছে। অটোমোবাইলে ব্যবহূত পণ্যগুলোর চাহিদা বাড়ার কারণে প্লাস্টিকের উৎপাদন বেড়েছে। নির্মাতা একটি জরিপ অনুসারে, মন্ত্রণালয় আশা করছে ডিসেম্বরে শিল্পোৎপাদন ১ দশমিক ৬ শতাংশ এবং জানুয়ারিতে ৫ শতাংশ বাড়বে।
এদিকে দেশটির কর্মকর্তারা ডিসেম্বরে পূর্বাভাসে নেতিবাচক ঝুঁকি নিয়ে সতর্ক করেছেন। তাদের ভাষ্য, জাপানি কয়েকটি গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান প্রধানত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় সরবরাহের সমস্যার কারণে এ মাসেরও উৎপাদন কমিয়ে আনতে বাধ্য হয়েছে।
গত মাসে শিল্প চালানের সূচক ৭ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়েছে ৯৫ দশমিক ৩ পয়েন্টে পৌঁছেছে। পাশাপাশি এ সময়ে পণ্য ও উপকরণের উৎপাদন ১ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে ১০০ দশমিক ৪ পয়েন্টে পৌঁছেছে।