উড়োজাহাজ কিনবে বিমান বাংলাদেশ

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরে যুক্ত হচ্ছে আরও নতুন উড়োজাহাজ। আগামী মাসেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন সচিব মহিবুল হক। সোমবার (২৯ জুলাই) সকালে সচিবালয়ের নিজ দফতরে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘একসঙ্গে ১০টি নতুন উড়োজাহাজ কেনার ঘটনা একবারই ঘটেছে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ২০০৮ সালে মার্কিন উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং কোম্পানির সঙ্গে ১০টি নতুন বিমান ক্রয়ের জন্য চুক্তি করে। ইতোমধ্যে চারটি নতুন বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর, দুটি নতুন বোয়িং ৭৩৭-৮০০ ও তিনটি বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিমান বহরে যুক্ত হয়েছে। আরেকটি ড্রিমলাইনার বহরে যুক্ত হবে সহসাই। এরপর দীর্ঘ নয় বছর আর কোনো নতুন উড়োজাহাজ আনার চুক্তি করা যায়নি। অথচ দিন দিন যাত্রীর সঙ্গে সঙ্গে উড়োজাহাজের চাহিদাও বাড়ছে।’

মহিবুল হক বলেন, ‘ভবিষ্যৎ চাহিদার কথা বিবেচনায় রেখে আমরা আরও নতুন নতুন উড়োজাহাজ বিমান বহরে যুক্ত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। আগামী মাসেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে।’

তবে নতুন করে কী পরিমাণ উড়োজাহাজ আনার চুক্তি করা হতে পারে তা তিনি বলেননি। এটি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চাহিদা এবং সামর্থ্যের ওপর নির্ভর করবে বলে তিনি জানান।

কী ধরনের উড়োজাহাজ বহরে সংযোজন করা হবে-এমন প্রশ্নের উত্তরে মহিবুল হক বলেন, ইতোমধ্যে বিমান বহরে যুক্ত হওয়া সবগুলো উড়োজাহাজ সর্বাধুনিক। নতুন করে চুক্তি করা উড়োজাহাজগুলো নিঃসন্দেহে ভবিষ্যৎ উপযোগীই হবে।

বিমান সচিব বলেন, নতুন উড়োজাহাজ আনার চুক্তি করার সঙ্গে সঙ্গে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবসার ধরন ও প্রকৃতি পাল্টাবে। বাড়ানো হবে রুট।

প্রসঙ্গত, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স বাংলাদেশের একমাত্র সরকারি এয়ারলাইন্স। বাংলাদেশের জাতীয় পতাকাবাহী এই সংস্থা প্রধানত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, ঢাকা থেকে কার্যক্রম পরিচালনা করে। এ ছাড়াও শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, চট্টগ্রাম এবং ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, সিলেট থেকেও এর কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

আন্তর্জাতিক রুটে যাত্রী এবং মালামাল পরিবহনের পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ সেবাও প্রদান করে থাকে বিমান। বিশ্বের প্রায় ৪২টি দেশের সঙ্গে এর আকাশ সেবার চুক্তি থাকলেও মাত্র ১৬টি দেশে এর কার্যক্রম বিদ্যমান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *