তুলা সরবরাহ সংকটের মুখে পাকিস্তান
পাকিস্তানে তুলার অভ্যন্তরীণ চাহিদা উত্তরোত্তর বাড়ছে। তবে প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে চলতি বছর দেশটিতে তুলা উৎপাদন কমতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে আগামী দিনগুলোয় পাকিস্তানে তুলার সংকট দেখা দিতে পারে বলে মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা।
সম্ভাব্য সংকট এড়াতে দেশটিতে ৪৫ লাখ বেল (প্রতি বেলে ৪৮০ পাউন্ড) তুলা আমদানি করা প্রয়োজন। করাচি কটন ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান নাসিম উসমান এ সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন। খবর বিজনেস রেকর্ডার ও ডন।
২০১৭ সালে পাকিস্তান তুলার অভ্যন্তরীণ ব্যবহার আগের বছরের তুলনায় ৪ দশমিক ৮৪ শতাংশ বেড়ে ১ কোটি ৮ লাখ ২৫ হাজার বেলে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) ফরেন এগ্রিকালচারাল সার্ভিস। চলতি বছর দেশটিতে তুলার অভ্যন্তরীণ চাহিদা অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এর বিপরীতে বিশ্বের পঞ্চম শীর্ষ তুলা উৎপাদনকারী দেশ পাকিস্তানে প্রতিকূল আবহাওয়ার জের ধরে ২০১৮ সাল শেষে মোট ৮০ লাখ বেল তুলা উৎপাদন হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে ইউএসডিএ, যা আগের বছরের তুলনায় ২ দশমিক ৪৪ শতাংশ কম। গত বছর দেশটিতে ৮২ লাখ বেল তুলা উৎপাদন হয়েছিল।
তুলা উৎপাদন আগের বছরের তুলনায় দুই লাখ বেল কমার কারণে আগামী দিনগুলোয় পাকিস্তানের আমদানি নির্ভরতা বাড়বে। তবে চলতি বছরে বিশ্বের ষষ্ঠ শীর্ষ তুলা আমদানিকারক দেশ পাকিস্তানে পণ্যটির আমদানি দাঁড়াতে পারে ২৬ লাখ বেলে, যা আগের বছরের তুলনায় ২১ দশমিক ২১ শতাংশ কম। ২০১৭ সালে দেশটিতে সব মিলিয়ে ৩৩ লাখ বেল তুলা আমদানি হয়েছে।
মূলত এ কারণেই তুলা সরবরাহ সংকটের আশঙ্কা দেখছেন নাসিম উসমান। তিনি জানান, সম্ভাব্য সরবরাহ সংকট এড়াতে দ্রুতই ৪৫ লাখ বেল তুলা আমদানি করা জরুরি। এ ব্যাপারে সরকারের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন পাকিস্তানি তুলা আমদানিকারক ও বস্ত্র শিল্পসংশ্লিষ্টরা।