উইজডেনের বর্ষসেরা ওয়ানডে একাদশে মিরাজ

স্টাফ রিপোর্টার

২০২২ সালে ওয়ানডে ফরম্যাটটি স্বপ্নের মত কাটিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচজয়ী দুটি বোলিং পারফরম্যান্সের পর ভারতের বিপক্ষে ব্যাট হাতে যে দৃঢ়তা দেখাতে পেরেছিলেন বাংলাদেশের এই তরুণ অলরাউন্ডার, তা সবাইকে অবাক করে দিয়েছে।

অবাক করেছে ক্রিকেটের বাইবেলখ্যাত উইজডেনকেও। উইজডেন কর্তৃপক্ষ ২০২২ সালে যে বর্ষসেরা ওয়ানডে একাদশ ঘোষণা করেছে, সেখানে অবশ্যম্ভাবীভাবেই নিজের নাম অন্তর্ভূক্ত করে নিতে পেরেছেন মিরাজ।

শুধু পারফরম্যান্সই নয়, দলের প্রতি মিরাজের নিবেদনও মুগ্ধ করেছে উইজডেন কর্তৃপক্ষকে। এ কারণে তারা যে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে, সেখানে লিখেছে, বল হাতে তার ওপর চোখ বন্ধ করে নির্ভর করা যায়। ব্যাট হাতে তো ভারতের বিপক্ষে ছিলেন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

২০২২ সালে অলরাউন্ডার হিসেবে ব্যাট এবং বলে দারুণ পারফরম্যান্স করেছেন তিনি। পুরো বছরে খেলেছেন ১৫টি ওয়ানডে। বোলিংয়ে ২৮.২০ গড়ে নিয়েছেন ২৪টি উইকেট। ইকনোমি রেট ৫.৪৪। একই সঙ্গে ব্যাট হাতে লোয়ার অর্ডারে নেমে ৬৬ গড়ে করেছেন ৩৩০ রান। স্ট্রাইক রেট ৮৪.১৮ করে।

উইজডেন লিখেছে, ব্যাট এবং বল হাতে বাংলাদেশ বেশ কয়েকটি গৌরবময় মুহূর্ত উপহার দিয়েছেন মিরাজ। বিশেষ করে ভারতকে সিরিজ হারানোর মূল নায়কই ছিলেন মিরাজ। এই সিরিজে ব্যাট হাতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তিনি। প্রথম ওয়ানডেতে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে ৩৮ রান করে তিনি অবিশ্বাস্য এক জয় এনে দেন।

এছাড়া দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৬৯ রানে ৬ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর দারুণ ধৈয্যশীল একটি ইনিংস খেলেন তিনি। করেন অপরাজিত সেঞ্চুরি। বল হাতেও দারুণ নির্ভরশীল। ১৫টি ওয়ানডের মধ্যে মাত্র দুই ম্যাচে উইকেট পাননি। এছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে নিয়েছেন ম্যাচজয়ী ৪টি করে উইকেট।

উইজডেনের এবারের ওয়ানডে একাদশে অস্ট্রেলিয়া, পাকিস্তান, ভারত, নিউজিল্যান্ড থেকে জায়গা পেয়েছেন দু’জন করে ক্রিকেটার। একাদশের সঙ্গে দ্বাদশ ব্যক্তি হিসেবে রয়েছেন জিম্বাবুয়ের অলরাউন্ডার সিকান্দার রাজা। এই একাদশে জায়গা পেতে মিরাজের সঙ্গে কাগজে-কলমে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে সিকান্দার রাজার।

উইজডেন ডট কমের লেখকরা ২০২২ সালের পহেলা জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বরের ওয়ানডে পারফরম্যান্স আমলে নিয়ে এই দল গঠন করেন।

উইজডেনের বর্ষসেরা ওয়ানডে একাদশ

ট্রাভিস হেড (অস্ট্রেলিয়া), ইমাম উল হক (পাকিস্তান), বাবর আজম (পাকিস্তান, অধিনায়ক), শ্রেয়াস আয়ার (ভারত), টম ল্যাথাম (নিউজিল্যান্ড, উইকেটরক্ষক), রাশি ফন ডার ডুসেন (সাউথ আফ্রিকা), মেহেদী হাসান মিরাজ (বাংলাদেশ), অ্যালজারি জোসেফ (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), মোহাম্মদ সিরাজ (ভারত), অ্যাডাম জাম্পা (অস্ট্রেলিয়া) ও ট্রেন্ট বোল্ট (নিউজিল্যান্ড)।

দ্বাদশ ব্যক্তি: সিকান্দার রাজা (জিম্বাবুয়ে)।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *