ঈদের কেনাকাটায় যে বিষয় গুলো খিয়াল করবেন

ঈদুল ফিতরের আর মাত্র আট-নয় দিন বাকি। আনন্দের বাড়তি অনুষঙ্গ ঈদের কেনাকাটা। কেনাকাটার প্রধান উপাদান পোশাক। ঈদ উপলক্ষে পরিবারসহ আত্মীয়-স্বজনের জন্য কিনতে হয় পোশাক।

তাই ঈদের কেনাকাটা জমে উঠেছে এখনই। বিভিন্ন শপিং মলে ক্রেতাদের ভিড় চোখে পড়ার মতো। তবে এই কেনাকাটায় কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। আসুন জেনে নেই সে সম্পর্কে—

১. এখন রমজান মাস। তাই রোজা রেখে কেনাকাটা করা বেশ কষ্টের। তার ওপর দোকানগুলোতে থাকে ভিড়! সুতরাং শারীরিক ও পারিপার্শ্বিক বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

২. রোজা রেখে কেনাকাটা করতে গেলে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। তাই ইফতারের পর শপিংয়ে যেতে পারেন। রমজান মাসজুড়ে শপিং সেন্টারগুলো রাত এগারো-বারোটা পর্যন্ত খোলা থাকে।

৩. এখন গ্রীষ্মকাল। তার ওপর রোজার মাস। এ সময়ে হিট স্ট্রোকের সম্ভাবনা থাকে। অতিরিক্ত গরমে হিট স্ট্রোকের সম্ভাবনা থাকলে দ্রুত আশেপাশের হাসপাতাল বা চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন।

৪. বাজারে এখন চড়া দাম। তাই দেখেশুনে কেনাকাটা করুন। কয়েকটি দোকান যাচাই করে কেনাকাটা করুন। কারণ দোকান মালিকেরা এ সময় পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেন। পণ্য কেনার আগে যাচাই-বাছাইয়ে সতর্ক থাকুন।

৫. মার্কেটে ভিড় বেশি হওয়া জায়গাগুলোতে মোবাইল চুরি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই নিজের ফোন সাবধানে রাখবেন। দোকানের টেবিলের ওপর ফোন রাখবেন না। তাহলে সেটা গায়েব হয়ে যেতে পারে।

৬. কেনাকাটা করার পর দোকানদারের দেওয়া প্যাকেটটি ভালোভাবে বুঝে নিন। প্রয়োজনে দেখে নিন, আপনার পছন্দ করা জিনিসটি প্যাকেটে ঠিকঠাক মতো দিয়েছে কি-না।

৭. যে কোন দোকানে একটি জিনিসের দরদাম হয়ে গেলে, সেটা পরিবর্তন করে অন্যটা নিতে যাবেন না। তাহলে আগের পণ্যের চেয়ে এটার দাম বেশি চেয়ে বসবে। তাই প্রয়োজনে দরদাম সম্পন্ন করার আগে সময় নিয়ে ভেবে নিন।

৮. ঈদের সময়ে ব্যাগকাটা পার্টি, অজ্ঞান পার্টি, ছিনতাইকারী ও পকেটমাররা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকে। তাই কেনাকাটা করে সাবধানে বাসায় ফিরবেন। রাত বেশি হয়ে গেলে সিএনজিতে উঠবেন না।

৯. কেনাকাটার সময় ব্যাগ বা সঙ্গের জিনিসপত্র সাবধানে রাখুন। সন্ধ্যার পর কেনাকাটা করতে গেলে একা না যাওয়াই ভালো। সঙ্গে কম দামি ফোন এবং কম ক্যাশ টাকা রাখুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *