ইস্পাত উৎপাদন ১০০ কোটি টন ছাড়াল চীন
ক্রমবর্ধমান অভ্যন্তরীণ ও বৈশ্বিক চাহিদা চীনের ইস্পাত উৎপাদন খাতে প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে। এ ধারাবাহিকতায় ২০১৮ সালের প্রথম ১১ মাসে দেশটিতে পণ্যটির উৎপাদন আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৮ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়ে ১০০ কোটি টন ছাড়িয়ে গেছে।
চীনের ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড রিফর্ম কমিশনের (এনডিআরসি) সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবর সিনহুয়া ও মেটাল বুলেটিন।
চীন বিশ্বের শীর্ষ ইস্পাত উৎপাদনকারী দেশ। অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণের পর প্রতি বছর দেশটি থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ইস্পাত রফতানি হয়। পণ্যটির রফতানিকারক দেশগুলোর বৈশ্বিক তালিকায় চীন শীর্ষে রয়েছে।
এনডিআরসির প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালের জানুয়ারি-নভেম্বর সময়ে চীনের কারখানাগুলোয় সব মিলিয়ে ১০১ কোটি টন অপরিশোধিত ইস্পাত উৎপাদন হয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৮ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি।
এদিকে মাসভিত্তিক হিসাবে গত নভেম্বরে দেশটিতে ৭ কোটি ৭৬ লাখ টন ইস্পাত উৎপাদন হয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১০ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি।
২০১৮ সালে চীনে ইস্পাত উৎপাদনের পূর্ণাঙ্গ হিসাব এখনো প্রকাশ করেনি আইডিআরসি। আগামী ফেব্রুয়ারি-মার্চ নাগাদ এ বিষয়ক পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ করবে প্রতিষ্ঠানটি।
তবে প্রাথমিক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালে চীনের কারখানাগুলোয় অপরিশোধিত ইস্পাতের সম্মিলিত উৎপাদন আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় বেড়ে ১১০ কোটি টন ছাড়িয়ে যেতে পারে। বিশ্বব্যাপী ইস্পাতের ব্যবহার দ্রুত বাড়ছে। চীনেও এর ব্যতিক্রম নয়।
চীনজুড়ে বড় বড় অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্প চলমান থাকায় পণ্যটির চাহিদা আরো বেড়েছে। একই সঙ্গে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের উচ্চাভিলাষী ‘ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড’ উদ্যোগ ইস্পাতের চাহিদা বাড়িয়ে দিয়েছে। এসব কারণে চীনা ইস্পাত উৎপাদনকারীরা পণ্যটির উৎপাদন বাড়াতে মনোযোগ দিয়েছেন।