ইরানের জ্বালানি তেল রফতানি সর্বোচ্চে

স্টাফ রিপোর্টার

২০১৮ সালে জ্বালানি তেল রফতানিতে ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। সে সময়ের পর প্রথমবারের মতো দেশটিতে রফতানি সর্বোচ্চে পৌঁছেছে। সম্প্রতি ইরানের জ্বালানি তেলমন্ত্রী জাভেদ ওজি এ কথা জানান। খবর রয়টার্স।

২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তি থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরে আসে। এর তিন বছর পর ২০১৮ সালে তেহরানের ওপর আবারো নিষেধাজ্ঞা জারি করে দেশটি। ফলে ইরানের তেল রফতানি ও রাজস্ব উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়। তবে ব্যতিক্রম হিসেবে চীন এখনো ইরানের কাছ থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল কিনছে।

জ্বালানি তেলমন্ত্রী জানান, ২০২২ সালের ২১ মার্চ থেকে ৮ কোটি ৩০ লাখ ব্যারেলের বেশি জ্বালানি তেল রফতানি করা হয়েছে, যা আগের মার্চ ২০২১-২০২২ ইরানিয়ান বছরের তুলনায় বেশি। অর্থাৎ দুই বছরের মধ্যে ১৯ কোটি ব্যারেল বেশি রফতানি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওজি। তিনি আরো জানান, ২০২২-২৩ অর্থবছরে আগের ইরানিয়ান বছরের তুলনায় গ্যাস রফতানি ১৫ শতাংশ বেড়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র গত বৃহস্পতিবার সংযুক্ত আরব আমিরাত, হংকংসহ ৩৯টি সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ওয়াশিংটনের মতে, এসব সংস্থা বিশ্বব্যাপী আর্থিক ব্যবস্থায় ইরানকে প্রবেশের সুবিধা দিয়ে থাকে। তাদের এ কার্যক্রমকে কোটি ডলার স্থানান্তরের ছায়া ব্যাংকিং বলেও আখ্যা দিয়েছে।

ট্রেজারি বিভাগের একজন সাবেক কর্মকর্তা ব্রায়ান ও’টুলে বলেন, ‘‌যুক্তরাষ্ট্রের এ পদক্ষেপ ইরানের তেল রফতানি ও এ থেকে আয়ের কার্যক্রমকে প্রভাবিত করবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *