ইন্দোনেশিয়ায় পাম অয়েল রফতানিতে চাঙ্গাভাব

ইন্দোনেশিয়া বিশ্বের শীর্ষ পাম অয়েল উৎপাদক ও রফতানিকারক দেশ। এবারের শীত মৌসুমে ইন্দোনেশিয়ার পাম অয়েল উৎপাদন খাতে চাঙ্গাভাব বজায় থাকলেও দেশটি থেকে পণ্যটির রফতানিতে বড় ধরনের পতন দেখা দিয়েছিল। এর পরও বিদায়ী বছরে দেশটি থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে পাম অয়েল রফতানিতে চাঙ্গাভাব দেখা গেছে।

এ সময় ইন্দোনেশিয়া থেকে পাম অয়েল রফতানি আগের বছরের তুলনায় ৮ শতাংশ বেড়ে প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টনে পৌঁছে গেছে। ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত পাম অয়েল বোর্ডের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবর রয়টার্স ও জাকার্তা পোস্ট।

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালে ইন্দোনেশিয়া থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে সব মিলিয়ে ৩ কোটি ৪৬ লাখ টন পাম অয়েল রফতানি হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৮ শতাংশ বেশি। একই সঙ্গে বিদায়ী বছরে ইন্দোনেশিয়ার পাম অয়েল উৎপাদন খাতও আরো চাঙ্গা হয়ে উঠেছে।

এ সময় দেশটিতে সব মিলিয়ে ৪ কোটি ৩০ লাখ টন পাম অয়েল উৎপাদন হয়েছে। চলতি বছর শেষে দেশটিতে পাম অয়েলের উৎপাদনে আরো ৪-৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি দেখা যেতে পারে।

অন্যদিকে বিদায়ী বছরে ইন্দোনেশিয়া থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে সব মিলিয়ে ২ কোটি ৯০ লাখ টন পাম অয়েল রফতানি হয়েছে বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে ইউএসডিএ, যা আগের বছরের তুলনায় ৭ দশমিক ৪১ শতাংশ বেশি। সেই হিসাবে, এক বছরের ব্যবধানে ইন্দোনেশিয়া থেকে ২০ লাখ টন অতিরিক্ত পাম অয়েল রফতানি হয়েছে।

এদিকে মার্কিন কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) ফরেন এগ্রিকালচারাল সার্ভিসের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৬ সালে ইন্দোনেশিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ২ কোটি ৭৬ লাখ ৩৩ হাজার টন পাম অয়েল রফতানি হয়েছিল, যা আগের বছরের তুলনায় ২০ দশমিক ৬৪ শতাংশ বেশি। ২০১৭ সালে দেশটি থেকে পাম অয়েল রফতানি আগের বছরের সর্বোচ্চ অবস্থান থেকে ২ দশমিক ২৯ শতাংশ কমে দাঁড়ায় ২ কোটি ৭০ লাখ টনে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *