ইনানী সি বীচ

কক্সবাজার জেলার পর্যটন সেক্টরে ইমাজিং টাইগার হচ্ছে ইনানী। বিশ্বের দীর্ঘতম বালকাময় সৈকত কক্সবাজার যার দূরত্ব প্রায় ১২০০ কিলোমিটার। কক্সবাজার থেকে টেকনাফ পর্যন্ত দীর্ঘ একশো বিশ কিলোমিটার সমুদ্র সৈকতের মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর,আকর্ষণীয় ও নয়নাভিরাম হচ্ছে ইনানী বীচ।

এককথায় ইনানীকে প্রকৃতির ভূস্বর্গ বলা চলে। ইনানী সৈকত থেকে শুরু করে টেকনাফ পর্যন্ত এর প্রাকৃতিক প্রবাল এবং পাথর সমুদ্রের ভাঙ্গন থেকে সৈকতকে রক্ষা করছে।  আবার, এসব পাথর ইনানী সৈকতকে দিয়েছে বাড়তি সৌন্দর্য।

কক্সবাজার শহর থেকে প্রায় ৩৩ কিঃমিঃ দক্ষিণে ইনানী সমুদ্র সৈকত অবস্থিত। প্রবাল পাথরের সমারোহে ইনানী সমুদ্র সৈকত এখন আগের চেয়ে অনেক সুন্দর সাজানো গোছানো বলা যায়। একদা ইনানী যেতে হতো কক্সবাজার-টেকনাফ সড়ক হয়ে সোনারপাড়া আধাপাকা ও কাঁচা রাস্তার দিয়ে। সে সময় এখন আর নেই।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোর কর্তৃক ১৯৯২ সালে নির্মিত কলাতলী থেকে টেকনাফ ৮৪ কিঃমিঃ দীর্ঘ মেরিন ড্রাইভ রোড দিয়ে যে কোন যানে এখন ইনানী সমুদ্র সৈকতে যাওয়া যায়। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চিংড়ি পোনা উৎপাদনের অনেক হ্যাচারি রয়েছে ইনানীতে। সুপারি গাছের সারি সারি ইনানীকে আরো মহিমান্বিত করে রেখেছে।

ইনানী সমুদ্র সৈকত যাওয়ার পথে বনবনানীতে পাহাড়ঘেরা পাখির কলকাকলী ও সাগর বেস্টিত সমুদ্রের গর্জন স্বকর্ণে শোনা ও শুভ্র রঙ্গের সাগরের ঊর্মি, সারি সারি ঝাউবাগান এবং কক্সাবাজার জেলার নৈসর্গিক দৃশ্য উপভোগ করার মজাই আলাদা। সিনেমা ও নাট্য পরিচালকদের শুটিং করার জন্য এ সমুদ্র সৈকতসহ আশে পাশে অনেক পিকনিক স্পট এখন অনেক লোভনীয় শুটি স্পট।

বন বিভাগের একটি সুন্দর রেস্ট হাউসটি এক সময় একমাত্র রেস্টহাউস হলেও এখন ব্যক্তি মালিকানায় অনেক রেস্টহাউস ও হোটেল-মোটেল-কটেজ রয়েছে। পর্যটকরা অনায়াসে এখন ইনানী সমুদ্র সৈকতে পিকনিক করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। পর্যটন মৌসুমে পর্যটকদের ভিড়ের চাপে স্থানীয়দের পিকনিক আয়োজন করতে হিমসিম পোহাতে হয়। এমন কোন বছর নেই যেখানে কক্সবাজার শহরে কোন স্কুল কলেজ বার্ষিক বনভোজন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করে না।

কিভাবে যাওয়া যায়:

উখিয়া থেকে সিএনজি এবং মাইক্রো নিয়ে যাওয়া যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *