আশা জাগাচ্ছে রেমিট্যান্স
ডলার বাজারের অস্থিরতা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। বেঁধে দেওয়া দরে ব্যাংক ও মানি চেঞ্জারগুলোতে ডলার পাওয়া যাচ্ছে না। বিশেষ করে খোলাবাজারে ডলার বিক্রিতে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে পড়েছে। ডলার সংকটে আমদানিতে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে রিজার্ভ থেকে ডলার সরবরাহ করা হচ্ছে। তবুও সংকট নিরসনের কোনো উদ্যোগই কাজে আসছে না। তবে এর মধ্যেই নতুন করে আশা জাগাচ্ছে রেমিট্যান্স। ডলারের এ সংকটময় পরিস্থিতিতে মুদ্রাটি আয়ের অন্যতম উৎস রেমিট্যান্স বাড়তে শুরু করেছে।
চলতি মাসের (নভেম্বর) প্রথম ১৭ দিনে প্রায় ১১৮ কোটি ৭০ লাখ ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে দেশে। প্রতিদিন গড়ে আসছে প্রায় ৭ কোটি (৬.৯৮ কোটি) ডলার। এভাবে রেমিট্যান্স আসার ধারা অব্যাহত থাকলে মাস শেষে দুই বিলিয়ন বা ২০৯ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে। এর আগে সবশেষ গত আগস্টে ২ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছিল রেমিট্যান্স। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন সূত্রে এ তথ্য উঠে এসেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য মতে, চলতি মাস নভেম্বরের প্রথম ১৭ দিনে ১১৮ কোটি ৭০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। এরমধ্যে রাষ্ট্রীয় ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৭ কোটি ৮৫ লাখ ২০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত এক ব্যাংকের (বিকেবি) মাধ্যমে এসেছে ৩ কোটি ৫১ লাখ ৭০ হাজার ডলার। বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১০৭ কোটি ৪ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৩৬ লাখ ডলার। এসময়ের মধ্যে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি ৮ ব্যাংকে।
রেমিট্যান্সের প্রতি ডলারে ১১৫ টাকার বেশি নয়
রেমিট্যান্সের ক্ষেত্রে প্রতি ডলারের বিপরীতে ১২২ টাকার বেশি দর দেওয়ার তথ্য গণমাধ্যমে আসার পর পরই জরুরি বৈঠকে বসে ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন এবিবি ও বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনকারী ব্যাংকগুলোর সংগঠন বাফেদা।