আর্জেন্টিনার গম রফতানি বৃদ্ধি

স্টাফ রিপোর্টার

চলতি বছর আর্জেন্টিনার গম রফতানি লক্ষণীয় মাত্রায় বাড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। মৌসুম শেষে রফতানির পরিমাণ ১ কোটি ৩৩ লাখ টনে পৌঁছতে পারে। আগের বছর রফতানি করা হয় ১ কোটি ১২ লাখ টন। বুয়েন্স আয়ার্স গ্রেইন এক্সচেঞ্জ সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। খবর এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল প্ল্যাটস।

বাজার পর্যবেক্ষকরা জানান, স্থানীয় বাজারে ঊর্ধ্বমুখী চাহিদার কারণে আর্জেন্টিনা গম রফতানিতে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে। স্থানীয় বাজারে সরবরাহ বাড়ালে মূল্যস্ফীতির চাপ কমবে বলে মনে করছেন নীতিনির্ধারকরা। এমন পদক্ষেপের পরও দেশটির গম রফতানি ঊর্ধ্বমুখী থাকার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। সদ্যবিদায়ী মৌসুমে কৃষিপণ্যটির রেকর্ড উৎপাদন হয়েছে। মূলত এ কারণে রফতানি বাড়াতে সক্ষম হবে দেশটি। এছাড়া বিশ্বজুড়ে গমের সরবরাহ সংকট কমানোর লক্ষ্যেও দেশটি রফতানি বাড়াচ্ছে।

আর্জেন্টিনার কৃষি মন্ত্রণালয় গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর চলতি বছরের গম রফতানি লক্ষ্যমাত্রা ১ কোটি ২৫ লাখ টন নির্ধারণ করে। কিন্তু গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, রফতানি ১ কোটি ৩৫ লাখ টনে উন্নীত হতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা থেকে গমের বৈশ্বিক সরবরাহ কমছে। ফলে মধ্যপ্রাচ্যসহ প্রধান ভোক্তা দেশগুলো চাহিদা মেটাতে আর্জেন্টিনার সরবরাহের দিকে তাকিয়ে আছে।

বুয়েন্স আয়ার্স গ্রেইন এক্সচেঞ্জের প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, ২০২০ সালের ডিসেম্বরে আর্জেন্টিনায় ২০২১-২২ বিপণন মৌসুম শুরু হয়। গত বছরের নভেম্বরে বিপণন মৌসুম শেষ হয়েছে। মৌসুম শেষে মোট গম উৎপাদন দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ১৮ লাখ টন।

আর্জেন্টিনায় গম উৎপাদন বৃদ্ধিকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন বাজারসংশ্লিষ্টরা। কারণ বিশ্বজুড়ে গমের ব্যাপক সরবরাহ সংকট চলছে। শীর্ষস্থানীয় অনেক দেশের রফতানি সীমিত হয়ে পড়েছে। এক্ষেত্রে আর্জেন্টিনা বৈশ্বিক গম সরবরাহে কিছুটা গতির সঞ্চার ঘটাতে পারে।

বুয়েন্স আয়ার্স গ্রেইন এক্সচেঞ্জ জানায়, গত বছরের ডিসেম্বরে প্রাথমিক প্রাক্কলনে দেখা যায়, গম উৎপাদন ২ কোটি ১৫ লাখ টনে পৌঁছেছে। চূড়ান্ত হিসাবে উৎপাদনের পরিমাণ আরো তিন লাখ টন বেড়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *