আর্চারের গতিতে উড়ে গেল অস্ট্রেলিয়া

ফর্মে থাকা স্টিভেন স্মিথের অবর্তমানে গুরুদায়িত্ব বর্তেছিল ডেভিড ওয়ার্নারের কাঁধে। আগের দুই ম্যাচে হতাশ করা ওয়ার্নার, প্রথম ইনিংসে ৬১ রানের ইনিংস খেলে অন্তত পাসমার্ক পেয়েছেন। কম যাননি স্মিথের বদলে খেলতে নামা মার্নাস লাবুসচাগনে, করেছেন ইনিংস সর্বোচ্চ ৭৪ রান।

এ দুজন মিলে আবার তৃতীয় উইকেটে যোগ করেছেন শতাধিক রান। তবু স্কোরবোর্ড জানান দিচ্ছে অ্যাশেজের তৃতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৭৯ রানেই অলআউট হয়ে গেছে অস্ট্রেলিয়া। অবাক হচ্ছেন? এক জুটিতেই শতাধিক রান এলে, দল কীভাবে অলআউট হয় মাত্র ১৭৯?

অবাক হওয়ার মতোই কাণ্ড। আর এ ঘটনার মূল হোতা ইংল্যান্ডের ক্যারিবীয় বংশোদ্ভূত পেসার জোফরা আর্চার। লর্ডস টেস্টে তার বাউন্সারে পরাস্ত হয়েই হেডিংলি টেস্ট থেকে ছিটকে গেছেন স্মিথ। ম্যাচ শুরুর আগে অসিদের অর্ধেক শক্তি কমিয়ে দেয়া আর্চার, ম্যাচেও দেখিয়েছেন তাণ্ডব। তার গতির ঝড়েই মূলত ৫২.১ ওভারেই গুটিয়ে গেছে অস্ট্রেলিয়া।

বৃষ্টি আর আলোছায়ার লুকোচুরি খেলায় হেডিংলি টেস্টের প্রথম দিন দুই সেশনও পুরোপুরি খেলা হয়নি। এরই মধ্যে মাত্র ৫২.১ ওভার বোলিং করে সফরকারীদের অলআউট করে দিয়েছে ইংল্যান্ড। লর্ডসে নিজের অভিষেকে দুই ইনিংস মিলে ৫ উইকেট নেয়া আর্চার, এ ম্যাচের প্রথম ইনিংসেই নিয়েছেন ৬টি উইকেট, বিনিময়ে খরচ করেছেন মাত্র ৪৫ রান।

আর্চারের সঙ্গে স্টুয়ার্ট ব্রড ২ এবং ক্রিস ওকস ও বেন স্টোকসরা নেন ১টি করে উইকেট। আলোকস্বল্পতার কারণে নির্ধারিত সময়ের পুরোটা খেলা হয়নি। যে কারণে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নামেনি ইংল্যান্ড।

মেঘাচ্ছন্ন কন্ডিশনে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ২৫ রানেই ওপেনার মার্কাস হ্যারিস (৮) ও টপঅর্ডার উসমান খাজার (৮) উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। তৃতীয় উইকেটে ১১১ রানের জুটি গড়েন ওয়ার্নার ও লাবুসচাগনে। দলীয় ১৩৬ রানের মাথায় ৬১ রান করে ফেরেন ওয়ার্নার। এরপরই মোড়ক লাগে ইনিংসে।

মাত্র ৪৩ রানে শেষের ৮ উইকেট হারিয়ে ফেলে অস্ট্রেলিয়া। স্মিথের মতোই নিসঙ্গ অশ্বারোহী হয়ে ইনিংস সর্বোচ্চ ৭৪ রান করেন লাবুসচাগনে। এ দুজনের ফিফটি ব্যতীত দুই অঙ্ক ছুঁতে পেরেছেন কেবল অধিনায়ক টিম পেইন, তাও আউট হয়েছেন মাত্র ১১ রান। বাকি ৮ ব্যাটসম্যানই ফিরেছেন সিঙ্গেল ডিজিটে। তিনজন আবার পারেননি রানের খাতাই খুলতে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *