আফ্রিকায় কারখানা চালু করবে বায়োএনটেক
আফ্রিকায় টিকা তৈরির কারখানা চালু করতে যাচ্ছে বায়োএনটেক। গতকাল এ পরিকল্পনার কথা জানায় প্রথম কভিড-১৯ টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানটি। আফ্রিকা মহাদেশে টিকা ও জরুরি ওষুধ সরবরাহ নিশ্চিতে একাধিক কারখানা চালু করতে যাচ্ছে জার্মানিভিত্তিক কোম্পানিটি। খবর এপি।
মার্কিন কোম্পানি ফাইজারের সঙ্গে যৌথভাবে প্রথম কভিড-১৯ টিকা উৎপাদন করেছিল বায়োএনটেক। শুরু থেকেই তাদের বিরুদ্ধে সমালোচনা ছিল—পেটেন্ট প্রত্যাহারে অস্বীকারের মাধ্যমে দরিদ্র দেশগুলোর জন্য ঝুঁকি বাড়িয়েছে তারা। বায়োএনটেকের যুক্তি, এমআরএনএ ভ্যাকসিন উৎপাদন প্রক্রিয়া বেশ জটিল এবং বিশ্বব্যাপী মানসম্মত টিকা নিশ্চিতে তারা স্থানীয় অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করায় স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন।
গতকাল জার্মানির মারবার্গে এক অনুষ্ঠানে বায়োএনটেক জানায়, প্রয়োজনীয় সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করে শিপিং কনটেইনারে করে এমআরএনএ-ভিত্তিক টিকা পাঠানো যাবে। গন্তব্যে পৌঁছানোর পর চূড়ান্ত ধাপে টিকার ডোজগুলো বোতলে ভরা যাবে।
বায়োএনটেক জানায়, চলতি বছরের শেষের দিকে সেনেগাল কিংবা রুয়ান্ডায় টার্নকি ফ্যাসিলিটিতে টিকা সরবরাহ করা হবে। ১২ মাসের মধ্যে পাঁচ কোটি ডোজ টিকা উৎপাদন করতে চায় বায়োএনটেক। স্থানীয় নীতিনির্ধারকদের অনুমোদন শেষে সেখানে কার্যক্রম শুরু হবে।
বায়োএনটেক জানায়, টার্নকি ফ্যাসিলিটিতে ১২টি কনটেইনার যুক্ত করা হবে। ভবিষ্যতে সেখানে অন্যান্য টিকাও উৎপাদন করা যাবে। ম্যালেরিয়া বা যক্ষ্মার মতো প্রাণঘাতী রোগের টিকাও আফ্রিকায় সহজলভ্য হবে বলে আশাবাদ তাদের। সেখানে যেসব টিকা উৎপাদন হবে তা ওই দেশ ও আফ্রিকার অন্যান্য দেশে অলাভজনকভাবে বিক্রি করা হবে।
বিভিন্ন দাতাগোষ্ঠীর চেষ্টা সত্ত্বেও আফ্রিকায় কভিড-১৯ টিকা নিয়েছে মাত্র ১১ শতাংশ নাগরিক। বিপরীতে বৈশ্বিক টিকা গ্রহণের হার যেখানে ৫০ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে।