আপনার শিশু পুরোপুরি নিরাপদ আছে তো?
আপনার শিশু পুরোপুরি নিরাপদ আছে তো? সবকিছু কি ঠিক আছে? বলছিলাম আসলে সদ্যোজাত শিশু, অর্থাৎ নবজাতকের কথা। ওরা তো মুখে কষ্টের কথা বলতে পারে না, তাই ভয়টা একটু বেশিই। সদ্য যাঁরা মা-বাবা হয়েছেন, তাঁরা বলতে পারেন, ‘আমরা কী করে বুঝব? আমরা কি আর ডাক্তার!’ কথাটা কিছুটা সত্যি, তবে শিশুদের একটু খেয়াল করলেই কিন্তু সমস্যাটা বোঝা যায়। অল্পস্বল্প রোগ হলে বাচ্চাকে কয়েক দিন পর ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে হয়তো হবে; কিন্তু কিছু রোগ আছে, যেগুলোর বেলায় বাচ্চাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। কারণ, বাচ্চাকে কখনোই ঝুঁকির মুখে ফেলা ঠিক নয়। আসুন জেনে নিই সেসব লক্ষণ সম্পর্কে, যা দেখলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।
নবজাতকের বিপদ বা খারাপ লক্ষণগুলো
• জন্মের পরপর শ্বাস না নেওয়া
• জন্মের পর না কাঁদা, নীল বা কালো হয়ে যাওয়া
• নেতিয়ে পড়া বা স্বাভাবিকের চেয়ে কম নড়াচড়া করা কিংবা অজ্ঞান হয়ে যাওয়া
• খিঁচুনি হওয়া
• নাভি লাল হওয়া বা নাভিতে দুর্গন্ধ বা পুঁজ থাকা
• শ্বাস নিতে বা ছাড়তে কষ্ট হওয়া (মিনিটে ৬০ বা তার বেশি কিংবা ৩০ বারের কম )
• শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া
• শরীর ঠান্ডা হয়ে যাওয়া
• বুকের দুধ টানতে না পারা, না চোষা বা অনবরত বমি করা
• প্রথম দুই দিনের মধ্যে যেকোনো মাত্রার জন্ডিস কিংবা অন্য সময় খুব বেশি জন্ডিস হওয়া (পেটের নিচের অংশ, হাত বা পায়ের তালু হলুদ হলে বেশি জন্ডিস হয়েছে ধরতে হবে )
লেখক : রেজিস্ট্রার, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।