আন্তর্জাতিক পণ্যবাজারে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা

স্টাফ রিপোর্টার

আন্তর্জাতিক পণ্যবাজারে গত সপ্তাহে ইতিবাচক প্রবণতা বজায় ছিল। মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের মৌখিক নির্দেশনা ও চীন সরকারের অর্থনীতিকে সহায়তার ঘোষণা এক্ষেত্রে রসদ জুগিয়েছে। খবর আনাদোলু এজেন্সি।

জ্যাকসন হোল ইকোনমিক সিম্পোজিয়ামে ফেডের চেয়ারম্যান জেরোমি পাওয়েল জানান, যদি যথাযথ হয় তবে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক আবারো সুদের হার বাড়াতে পারে। বছরওয়ারি হিসেবে প্রকৃত মূল্যস্ফীতি এখনো অনেক ঊর্ধ্বমুখী। পণ্যবাজারে স্থিতি ফেরাতে এখনো অনেক দূর যেতে হবে।

ফিলাডেলফিয়া ফেডের প্রেসিডেন্ট প্যাট্রিক হার্কার গত সপ্তাহে বলেন, ‘‌এ মুহূর্তে অতিরিক্ত কোনো সুদের হার বাড়ানোর প্রয়োজন নেই।’ এদিকে ক্লিভল্যান্ড ফেড প্রেসিডেন্ট লরেট্টা মেস্টার বলেন, ‘‌মূল্যস্ফীতি যে শিথিল হয়ে আসছে, সে বিষয়ে আরো বেশি প্রমাণ প্রয়োজন।’

মুদ্রাবাজার সংশ্লিষ্টরা জানান, আগামী সেপ্টেম্বরে সুদের হার অপরিবর্তিত রাখতে পারে ফেডারেল রিজার্ভ। নীতি অপরিবর্তিত রাখার সম্ভাবনা ৮১ শতাংশ। অন্যদিকে কেউ কেউ বলছেন, ২৫ বেসিস পয়েন্টে সুদহার বাড়ানো হতে পারে, যার সম্ভাবনা ১৯ শতাংশ।

অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি বন্ডে সুদের হারে উত্থান-পতন বজায় ছিল। ৩০ ও ১০ বছরমেয়াদি সুদের হার ১২ ও ১৬ বছরের সর্বোচ্চে উঠেছে। ডলার ও ইউয়ানের মধ্যে সমতা সবচেয়ে কাছাকাছি অবস্থান করছে।

লম্বা সময় ধরেই চীনের অর্থনীতি অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে। অর্থনীতি নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। অর্থনীতিকে গতিশীল করতে দেশটির সরকার যথাযথ পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।  চীনে উৎপাদন শিল্পের তথ্য অর্থনীতিতে নেতিবাচক পরিস্থিতির ইংগিত দিচ্ছে। ২০২০ সালের পর প্রথমবারের মতো কমেছে ভোক্তা মূল্য। ফলে দেশটিতে মূল্যসংকোচনের উদ্বেগ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, বৈশ্বিক ও দেশভিত্তিক হিসেবে পণ্যের চাহিদা কমে যাওয়ায় অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। তবে বাজার এখনো প্রত্যাশা করছে যে চীন সরকার অর্থনীতির সব খাতকে সহায়তার লক্ষ্যে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *