আন্তর্জাতিক দরপত্রে কেনা হবে ৪০ শতাংশ ট্রান্সফরমার
পল্লী বিদ্যুতের জন্য ট্রান্সফরমার সরবরাহে প্রয়োজনীয় সংখ্যক দেশীয় দরদাতা পাওয়া যায় না। তাই ৪০ শতাংশ ট্রান্সফরমার আন্তুর্জাতিক দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এটি বাস্তবায়িত হলে ট্রান্সফরমারের দাম এখনকার চেয়ে কম পড়বে, এমন আশা সরকারের।
বুধবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। কমিটির সভাপতি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এতে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠকে কমিটির সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোসাম্মৎ নাসিমা বেগম সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, এতদিন এ ক্ষেত্রে জাতীয় দারপত্র আহ্বানের মাধ্যমে শুধু দেশীয় দরদাতারা টেন্ডারে অংশগ্রহণ করতেন। কিন্তু এতে করে প্রতিযোগিতাটা ভালো হয় না। দামটা বেড়ে যাচ্ছে। এটা আরও প্রতিযোগিতাপূর্ণ করতে আগামীতে এ ধরনের কেনাকাটার জন্য আন্তর্জাতিক দরদাতাদের আহ্বান করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ৪০ শতাংশ কাজ আন্তর্জাতিক দরদাতাদের দেয়া হবে। এমনিতে স্থানীয় দরদাতারা বিভিন্ন সুবিধা পেয়ে থাকেন।
‘বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের ‘শতভাগ পল্লী বিদ্যুতায়নের জন্য বিতরণ নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ (রাজশাহী, রংপুর, খুলনা ও বরিশাল বিভাগ) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ৯৩ হাজার ৩২৪টি ডিস্ট্রিবিউশন ট্রান্সফরমারের ক্রয়ের একটি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। ৫৪৮ কোটি ৪৬ লাখ টাকা ব্যয়ে এসব ট্রান্সফরমার সরবরাহ করবে দেশীয় একটি প্রতিষ্ঠান’,- বলেন তিনি।
নাসিমা বেগম আরও জানান, নেটওয়ার্ক রক্ষণাবেক্ষণ, মেরামত, অপগ্রেডেশন, প্রতিস্থাপন ও রাজস্ব আয়ের অংশ বিসিককে (বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প কর্পোরেশন) দেয়ার বিষয়ে এর আগে অনুমোদন দেয়া দুটি সিদ্ধান্ত বাতিলের প্রস্তাবে সায় দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
তিনি বলেন, দেশের দুই হাজার ৬০০টি ইউনিয়নে ইন্টারনেট সেবা, অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল স্থাপন, অ্যাকটিভ ডিভাইজ রক্ষণাবেক্ষণ এবং কিছু আপগ্রেডেশনের কাজ পেয়েছিল সামিট কমিউনিকেশন এবং ফাইবার অ্যাট হোম।
অতিরিক্ত সচিব বলেন, তাদের কথা ছিল তারা বিসিকের মালিকানা স্বত্ব অব্যাহত রেখে আগামী ২০ বছরের জন্য প্রথম দুই বছর গ্রেস পিরিয়ড হিসেবে কিছু দিতে হবে না। পরের চার বছর লভ্যাংশের ৫ শতাংশ এবং তার পরবর্তী বছরগুলোতে লভ্যাংশের ২ শতাংশ হারে দেয়ার কথা ছিল। তারা কিছু দিন কাজও বন্ধ রেখেছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখন এই কাজটা পিপিপি-তে বাস্তবায়নের জন্য কিছুদিন আগে সিদ্ধান্ত হয়। ফলে আগের ওই সিদ্ধান্তটা প্রত্যাহার করা হয়েছে।’