আদার কেজি ৫ টাকা

স্টাফ রিপোর্টার

দেশের সবচেয়ে বড় ভোগ্যপণ্যের বাজার খাতুনগঞ্জের আড়তে পঁচে যাচ্ছে শত শত মণ মজুত আদা। পচন ধরে যাওয়ায় বিক্রি করতে না পারায় এসব আদা ফেলে দেওয়া হচ্ছে সিটি করপোরেশনের ডাস্টবিনে। আবার আংশিক ভালো থাকা কিছু আদা বিক্রি হচ্ছে ৫ থেকে ২০ টাকা কেজি দরে।

মূলত কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে অতিরিক্ত আদা আমদানি এবং আশানুরূপ বিক্রি না হওয়ায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে ব্যবসায়ীরা।

মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) সরেজমিন চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে কাঁচামালের বিভিন্ন আড়ত ঘুরে আদার দুরাবস্থার এ চিত্র দেখা গেছে।

খাতুনগঞ্জেরর আদা রসুন পেঁয়াজের আড়তদার ইসমাইল সওদাগর বলেন, ‘কোরবানির ঈদের জন্য আমরা যে পরিমাণ আদার মজুত করেছিলাম সে অনুপাতে আদা বিক্রি হয়নি। কোরবানির পর দেখা গেছে গুদামে অনেক আদা নষ্ট হয়ে গেছে। বিশেষ করে অতিরিক্ত গরমের কারণে আদায় পচন ধরেছে। এই অবস্থায় গুদাম খালি করতে আমরা নষ্ট আদা ডাস্টবিনে ফেলে দিতে বাধ্য হচ্ছি। এছাড়া যে আদাগুলো সামান্য ভালো আছে সেগুলো ৫/১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করে দিচ্ছি।’

জামাল উদ্দিন নামের অপর এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘এখন যে কোনো উপায়ে গুদাম খালি করতে পারলেই বাঁচি। এবার আদায় বড় অঙকের লোকসান গুণতে হবে আমাদের। ৬০ টাকায় কেনা আদা এখন ৫/১০ টাকা কেজি দরেও বিক্রি করা যাচ্ছে না। পঁচে যাওয়ায় শত শত কেজি আদা ডাস্টবিনে ফেলে দিতে হচ্ছে।’

খাতুনগঞ্জ ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন আড়তের সামনে আদার বস্তা সাজিয়ে রাখা হয়েছে বিক্রির উদ্দেশ্যে। আশানুরূপ ক্রেতা নেই। ব্যবসায়ীরা বলেছেন কোরবানির পর আদার চাহিদা এমনিতেই কম। তার মধ্যে গুদামে মজুত আদায় পচন ধরায় সেসব আদা নাম মাত্র দামে কেজিতে বিক্রি করে দিতে হচ্ছে।

ব্যবসায়ীরা আরো জানান, ভালো আদা মান ভেদে প্রতি কেজি সর্বনিম্মন ৩০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পঁচন ধরা আদা বিক্রি হচ্ছে ৫ টাকা কেজি দরে।

এদিকে খুচরা বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মোটামুটি ভালো মানের আদা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে। অপরদেক খাতুনগঞ্জ থেকে আনা আদার বস্তা ৫/১০ টাকা কেজি দরে কিনে নিয়ে ভ্যানগাড়িতে ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতারা বাছাই করে শুকিয়ে ৬০/৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *