আদানির ৩৬% ঋণ জোগান দিয়েছে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান
আদানি গ্রুপের মোট ঋণের ৩৬ শতাংশ জোগান দিয়েছে ভারতীয় ব্যাংক ও ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক করপোরেশন (এনবিএফসি)। মূলত কিছু ব্যবসার মূলধনি ব্যয় (ক্যাপেক্স) দেশটিতে শিল্প গ্রুপটির ঋণের হিস্যা বাড়িয়ে দিয়েছে। তবে একই সময় অন্যান্য দেশের প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নেয়ার হার কমেছে আদানির। খবর দ্য ইকোনমিক টাইমস।
প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি মূলধন ও দীর্ঘমেয়াদি ঋণসহ গত মার্চে শেষ হওয়া অর্থবছরে আদানি গ্রুপ ঋণ নিয়েছে ২ লাখ ৪১ হাজার ৩৯৪ কোটি রুপি। এর মধ্যে ভারতীয় সংস্থাগুলো থেকে নেয়া হয়েছে ৮৮ হাজার ১০০ কোটি রুপি।
২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত ভারতের বেসরকারি ও রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক এবং এনবিএফসির কাছে ৭০ হাজার ২১৩ কোটি রুপি ঋণ ছিল আদানির, যা মোট ঋণের ৩১ শতাংশ। ওই সময় গ্রুপটির মোট ঋণ ছিল ২ লাখ ২৭ হাজার ২৪৮ কোটি রুপি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, আদানি গ্রুপের জন্য ঋণের সীমা বাড়িয়েছে ভারতের প্রধান কিছু ব্যাংক। এর মধ্যে রয়েছে স্টেট ব্যাংক, ব্যাংক অব বরোদা, ইউনিয়ন ব্যাংক অব ইন্ডিয়া, কানাডা ব্যাংক, এইচডিএফসি ব্যাংক, অ্যাক্সিস ব্যাংক ও আইসিআইসিআই ব্যাংক। বিমানবন্দর ও গ্রিন এনার্জি ব্যবসায় মূলধন ব্যয়ের কারণে গত অর্থবছরে আদানির ঋণের পরিমাণ বেড়েছে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে দেশীয় পুঁজি বাজার থেকে এ শিল্পগোষ্ঠীর ঋণও ২০২৩-২৪ অর্থবছরের (এপ্রিল-মার্চ) শেষে বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ১২ হাজার ৪০৪ কোটি রুপি, যা আগের অর্থবছরে ছিল ১১ হাজার ৫৬২ কোটি রুপি।
দেশী ব্যাংকে ঋণ নেয়ার পরিমাণ বাড়লেও উল্টো দিকে বৈশ্বিক পরিসরে কমেছে। এক বছর আগে বিদেশী ব্যাংকের কাছে ৬৩ হাজার ৭৮১ কোটি রুপি ঋণ থাকলেও গত মার্চ নাগাদ কিছুটা কমে হয়েছে ৬৩ হাজার ২৯৬ কোটি রুপি। এছাড়া বৈশ্বিক পুঁজি বাজার থেকে ঋণ একই সময়ে ৭২ হাজার ৭৯৪ কোটি রুপি থেকে ৬৯ হাজার ১৯ কোটি রুপিতে নেমে এসেছে। তবে মার্চে শেষ হওয়া অর্থবছরে সব মিলিয়ে আদানি গ্রুপের ঋণ বেড়েছে প্রায় ৬ শতাংশ।
আদানি গ্রুপের প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে পরিচালন মুনাফা আগের বছরের তুলনায় ৪৫ শতাংশ বেড়ে ৮২ হাজার ৯১৭ কোটি রুপিতে পৌঁছেছে। এতে সবচেয়ে প্রভাব রেখেছে বিমানবন্দর, গ্রিন হাইড্রোজেন ও ডাটা সেন্টারসহ আদানি এন্টারপ্রাইজের পরিকাঠামো ব্যবসা।