আগ্রহ হারানোর শীর্ষে সি পার্ল বিচ রিসোর্ট

স্টাফ রিপোর্টার

গত সপ্তাহজুড়ে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্য সূচক সামান্য বেড়েছে। সেই সঙ্গে দাম কমার থেকে দাম বাড়ার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে দ্বিগুণ প্রতিষ্ঠান। সপ্তাহজুড়ে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ১১৮টি প্রতিষ্ঠান। বিপরীতে দাম কমেছে ৪৭টির।

দাম বাড়ার তালিকায় বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠান নাম লেখালেও কিছু প্রতিষ্ঠান সপ্তাহজুড়েই বিপরীত পথে হেঁটেছে। দাম বাড়ার বদলে এসব কোম্পানির শেয়ারের দাম কমছে। এই দাম কমার ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিয়েছে সি পার্ল বিচ রিসোর্ট। বিনিয়োগকারীদের বড় অংশই এই প্রতিষ্ঠানের শেয়ার কিনতে খুব একটা আগ্রহী না হওয়ায় সপ্তাহজুড়েই দাম কমেছে। এতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে দাম কমার শীর্ষ স্থানটি দখল করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

গত সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম কমেছে ১৫ দশমিক ৬৮ শতাংশ। টাকার অঙ্কে প্রতিটি শেয়ারের দাম কমেছে ৩৯ টাকা ৩০ পয়সা। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম দাঁড়িয়েছে ২১১ টাকা ৩০ পয়সা, যা আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে ছিল ২৫০ টাকা ৬০ পয়সা।

এই দরপতনের আগে প্রায় এক বছর ধরে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বাড়ে। গত বছরের ১ আগস্ট কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম ছিল ৪৭ টাকা ২০ পয়সা। এরপর থেকে কোম্পানিটির শেয়ার দাম ধারাবাহিকভাবে বাড়তে থাকে। দফায় দফায় বেড়ে প্রতিটি শেয়ারের দাম ৩২০ টাকা ১০ পয়সায় পর্যন্ত উঠে। এর পর এখন কোম্পানিটির শেয়ার দাম কমতে দেখা যাচ্ছে।

শেয়ারের দামে এমন উত্থান-পতন হওয়া কোম্পানিটির সর্বশেষ ২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত বছরে বিনিয়োগকারীদের ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। তার আগে ২০২১ সালে ১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয় কোম্পানিটি। ২০২০ সালেও কোম্পানিটি ১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল।

২০১৯ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ১২০ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। আর শেয়ার সংখ্যা ১২ কোটি ৭ লাখ ৫০ হাজার। এর মধ্যে ৪৬ দশমিক ৮৩ শতাংশ শেয়ার আছে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে। বাকি শেয়ারের মধ্যে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৭ দশমিক ২৬ শতাংশ এবং প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৫ দশমিক ৯১ শতাংশ শেয়ার আছে।

এদিকে, দাম কমে যাওয়ায় বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ কোম্পানিটির শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন। ফলে সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১২০ কোটি ২০ লাখ ৭৪ হাজার টাকা। আর প্রতি কার্যদিবসে গড়ে লেনদেন হয়েছে ২৪ কোটি ৪ লাখ ১৪ হাজার টাকা।

সি পার্ল বিচ রিসোর্টের পরেই গত সপ্তাহে দাম কমার তালিকায় ছিল ইস্টার্ন ব্যাংক। সপ্তাহজুড়ে এই কোম্পানিটির শেয়ারের দাম কমেছে ১১ দশমিক ১৮ শতাংশ। ৯ দশমিক ৮২ শতাংশ দাম কামার মাধ্যমে পরের স্থানে রয়েছে আমরা নেটওয়ার্ক।

এ ছাড়া গত সপ্তাহে দাম কমার শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় থাকা, নাভানা ফার্মার ৭ দশমিক ১৩ শতাংশ, মেঘনা লাইফের ৭ দশমিক ১২ শতাংশ, মেঘনা পেট ইন্ডাস্ট্রিজের ৭ দশমিক ১২ শতাংশ, আলহাজ্ব টেক্সটাইলের ৬ দশমিক ৪৮ শতাংশ, ইউনিক হোটেলের ৬ দশমিক ৩৭ শতাংশ, চাটার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৫ দশমিক ৯০ শতংশ এবং প্রাইম ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৫ দশমিক ৬০ শতাংশ দাম কমেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *