আইসিইতে চিনি ও কফির দাম কমেছে
নতুন করে মন্দার মুখে পড়েছে চিনির বাজার। ইন্টারকন্টিনেন্টাল এক্সচেঞ্জে (আইসিই) সর্বশেষ কার্যদিবসে পরিশোধিত ও অপরিশোধিত—দুই ধরনের চিনির দামই আগের তুলনায় কমে গেছে।
রাবোব্যাংকের পক্ষ থেকে এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৯-২০ মৌসুমে চিনির বৈশ্বিক উদ্বৃত্ত প্রত্যাশার তুলনায় কমছে না। এ খবরের জের ধরে আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির নতুন করে দরপতন ঘটেছে। খবর বিজনেস রেকর্ডার ও কমোডিটি অনলাইন।
আইসিইতে সর্বশেষ কার্যদিবসে পরিশোধিত চিনির দাম আগের দিনের তুলনায় টনে ৪ ডলার ৪০ সেন্ট কমেছে। দিন শেষে মে মাসে সরবরাহের চুক্তিতে প্রতি টন পরিশোধিত চিনি বিক্রি হয় ৩২৫ ডলার ৯০ সেন্টে, যা আগের দিনের তুলনায় ১ দশমিক ৩ শতাংশ কম। একই চিত্র দেখা গেছে অপরিশোধিত চিনির দামেও।
এদিন পণ্যটির দাম কমেছে ১ দশমিক ৯ শতাংশ। দিন শেষে মে মাসে সরবরাহের চুক্তিতে প্রতি পাউন্ড অপরিশোধিত চিনি বিক্রি হয় ১২ দশমিক ৫২ সেন্টে, যা আগের দিনের তুলনায় দশমিক ২৪ সেন্ট কম।
নেদারল্যান্ডসভিত্তিক রাবোব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৯-২০ মৌসুমে চিনির বৈশ্বিক সরবরাহ উদ্বৃত্ত আগের মৌসুমের তুলনায় কমে দাঁড়াতে পারে ১১ লাখ টনে। তবে খাদ্যপণ্যটির সরবরাহ উদ্বৃত্ত কমে আসার এ হার প্রত্যাশার তুলনায় বেশ কম। এ পরিস্থিতি খাতসংশ্লিষ্টদের হতাশ করেছে। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক বাজারে পরিশোধিত ও অপরিশোধিত চিনির দাম কমিয়ে দিয়েছে।
এদিকে চিনির পাশাপাশি কফির দামেও মন্দাভাব বজায় রয়েছে। আইসিইতে সর্বশেষ কার্যদিবসে রোবাস্তা কফির দাম টনে ১৬ ডলার কমে গেছে। দিন শেষে মে মাসে সরবরাহের চুক্তিতে প্রতি টন রোবাস্তা কফির দাম দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৪০৪ ডলারে, যা আগের দিনের তুলনায় ১ দশমিক ১ শতাংশ কম।
এদিন অ্যারাবিকা কফির দামও ১ দশমিক ১ শতাংশ কমেছে। দিন শেষে মে মাসে সরবরাহের চুক্তিতে প্রতি পাউন্ড অ্যারাবিকা কফির দাম দাঁড়িয়েছে ৯২ দশমিক ১৫ সেন্টে, যা আগের দিনের তুলনায় ১ সেন্ট কম।