আইভরি কোস্টের কোকো রফতানি বেড়েছে
কোকো উৎপাদনকারী দেশগুলোর তালিকায় আইভরি কোস্টের অবস্থান বিশ্বে প্রথম। উৎপাদিত কোকোর বেশির ভাগই রফতানি করে দেশটি। চলতি মৌসুমে দেশটি থেকে পণ্যটির রফতানিতে চাঙ্গা ভাব বজায় রয়েছে। মৌসুম শুরুর পর ১ অক্টোবর থেকে ১৬ জুন পর্যন্ত আইভরি কোস্ট থেকে কোকো রফতানি আগের মৌসুমের একই সময়ের তুলনায় ১২ শতাংশ বেড়ে সাড়ে ২০ লাখ টন ছাড়িয়ে গেছে। আইভরি কোস্টের কোকো কমিশনের (সিসিসি) সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবর বিজনেস রেকর্ডার।
প্রতি বছর ১ অক্টোবর থেকে আইভরি কোস্টে কোকোর বিপণন মৌসুম শুরু হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি মৌসুম শুরুর পর থেকে ১৬ জুন পর্যন্ত দেশটির রফতানিকারকরা সব মিলিয়ে ২০ লাখ ৫১ হাজার টন কোকো রফতানি করেছেন, যা আগের মৌসুমের একই সময়ের তুলনায় ১২ শতাংশ বেশি। আগের মৌসুমের একই সময়ে দেশটি থেকে সব মিলিয়ে ১৮ লাখ ২৯ হাজার টন কোকো রফতানি হয়েছিল। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে আইভরি কোস্ট থেকে পণ্যটির রফতানি বেড়েছে ২ লাখ ২২ হাজার টন।
এদিকে ১০-১৬ জুন আইভরি কোস্টের আবিদজান বন্দর দিয়ে সব মিলিয়ে ১৯ হাজার টন কোকো রফতানি হয়েছে। এ সময় সেন্ট পাদ্রো বন্দর দিয়ে পণ্যটির রফতানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার টনে। ১০-১৬ জুন এ দুটি বন্দর দিয়ে সব মিলিয়ে ৩৪ হাজার টন কোকো রফতানি হয়েছে। আগের মৌসুমের একই সময়ে এ দুটি বন্দর দিয়ে মোট ৩১ হাজার টন কোকো রফতানি হয়েছিল।
দেশটির সরকারি তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমের প্রথমার্ধে (গত বছরের ১ অক্টোবর থেকে চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত) আইভরি কোস্টে সব মিলিয়ে ১৬ লাখ ৬০ হাজার টন কোকো উৎপাদন হয়েছে। অনুকূল আবহাওয়ায় উৎপাদন খাতে চাঙ্গা ভাব বজায় থাকায় চলতি মৌসুম শেষে দেশটি থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে কোকো রফতানিও আগের তুলনায় বাড়বে বলে আশা করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা।