অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজের ৩২ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের কোম্পানি অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ৩২ কোটি ৩৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদনে হয়েছে। এতে কোম্পানিটি লেনদেন তালিকার শীর্ষে উঠে এসেছে। এদিন কোম্পানিটির ১৫ লাখ ২১ হাজার ৪৩৬টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, সর্বশেষ সমাপ্ত ২০২৩-২৪ হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই-মার্চ) অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ারপ্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ৭ টাকা ৮৮ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময় যা ছিল ৭ টাকা ৩০ পয়সা। গত ৩১ মার্চ শেষে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৫২ টাকায়।
৩০ জুন সমাপ্ত ২০২৩ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৬০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের দিয়েছে অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৭ টাকা ৭৮ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৬ টাকা ৩ পয়সা। গত বছরের ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৫০ টাকা ১২ পয়সায়।
২০২১-২২ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৪৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৬ টাকা ৩ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ১০ টাকা ১৯ পয়সা। ওই বছরের ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়ায় ৪৬ টাকা ৮৪ পয়সায়, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ১০ টাকা ১৯ পয়সা।
১৯৮৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ২০০ কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ১৯৯ কোটি ৯৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ৮০২ কোটি ১৯ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ১৯ কোটি ৯৯ লাখ ৩৮ হাজার ৮৮৬। এর মধ্যে ৪৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালক, ১৮ দশমিক ২০ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, ২৩ দশমিক ৯৬ শতাংশ বিদেশী বিনিয়োগকারী ও বাকি ১১ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।