অযৌক্তিকভাবে মুরগির বাচ্চার দাম বাড়ানো হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার

দেশের করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো পোলট্রি মুরগির বাচ্চার দাম অযৌক্তিকভাবে বাড়িয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন খামারিরা। গতকাল রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো বাড়তি দামে বাচ্চা বিক্রি করে গত সাতদিনে বাজার থেকে অন্তত ১০৫ কোটি টাকা তুলে নিয়েছে। গত ৯ জানুয়ারি একটি একদিনের মুরগির বাচ্চার দাম ছিল ৯ টাকা। এর পর থেকে দাম বাড়তে থাকে। গতকাল পর্যন্ত একদিনের একটি মুরগির বাচ্চার দাম দাঁড়িয়েছে ৫৭ টাকায়। ৩১ জানুয়ারি থেকে গতকাল পর্যন্ত সাত দিনে করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিটি বাচ্চায় ২০ টাকা বাড়তি লাভ করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে খামারিরা বলেন, পোলট্রি খাতে বাচ্চা, খাবার (ফিড), মেডিসিনসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় প্রায় সবকিছু উৎপাদন করছে করপোরেট কোম্পানিগুলো। আবার তারা ডিম ও মুরগিও উৎপাদন করছে। পাশাপাশি খামারিদের সঙ্গে কন্ট্রাক্ট ফার্মিংয়েও জড়িত অধিকাংশ কোম্পানি। তাদের দৌরাত্ম্যে টিকতে পারছেন না দেশের সাধারণ খামারিরা। কোম্পানিগুলো বাজারে সিন্ডিকেট করে দাম বাড়াচ্ছে এখন।

করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের যোগসাজশ রয়েছে বলেও অভিযোগ তোলে বিপিএ। সংগঠনটি বলছে, বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার সুযোগ থাকলেও তা করা হচ্ছে না। বাজার যেন এককভাবে করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়ন্ত্রণ না করতে পারে, সেজন্য সরকারি উদ্যোগে খাদ্য ও বাচ্চা উৎপাদন করার দাবি জানায় সংগঠনটি।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিপিএর সভাপতি সুমন হাওলাদার। তিনি বলেন, ‘‌সব করপোরেট কোম্পানি কখনো ডিম আবার কখনো মুরগির উৎপাদন বাড়িয়ে খামারিদের লোকসানে ফেলে দেয়। কোম্পানিগুলো খামারিদের লোকসানে ফেলে কোটি কোটি টাকা লোপাট করে নিচ্ছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *