অবশেষে সেঞ্চুরি ধরা দিল মুমিনুলকে
ডোনাল্ড তিরিপানোর অফস্ট্যাম্পের বাইরের ডেলিভারিটিতে দারুণ এক ড্রাইভ করলেন, গ্যাপ দিয়ে বল চলে গেল সীমানার বাইরে। মাথার ওপর থেকে যেন পাহাড়সমান বোঝাটা নেমে গেল মুমিনুল হকের। কতদিন সেঞ্চুরির দেখা পাননি!
অবশেষে ধরা দিল তিন অংকের ম্যাজিক ফিগার। টেস্ট ক্যারিয়ারের নবম সেঞ্চুরির দেখা পেলেন বাঁহাতি লিটল জিনিয়াস। যেটি আবার তার অধিনায়কত্ব ক্যারিয়ারের প্রথম।
ক্যারিয়ারের প্রথম ১৪ ইনিংসে সেঞ্চুরি তিনটি। এর মধ্যে আছে ১৮১ রানে ডাবল সেঞ্চুরির কাছাকাছি যাওয়া ইনিংসও। মুমিনুল হকের টেস্ট ক্যারিয়ারের শুরুটা ছিল স্বপ্নময়।
একটা সময় তাকে বলা হতো ‘বাংলাদেশের ব্র্যাডমান’। টেস্টে গড়টা ছিল ভীষণ ঈর্ষণীয়। ক্যারিয়ারের প্রথম ১০ ইনিংসে একবারও দুই অংকের নিচে আউট হননি, মুমিনুল হক মাঠে নামলেই কমপক্ষে ফিফটির আশা নিয়ে বসে থাকতেন সমর্থকরা।
সেই মুমিনুল ক্রমেই তার ঈর্ষণীয় টেস্ট গড় হারিয়েছেন। গত ১৪ মাসে একটি সেঞ্চুরিও পাননি। এই সময়ে ১৪ ইনিংসে হাফসেঞ্চুরি মোটে একটি। সেটা ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হারা চট্টগ্রাম টেস্টে।
এরপর আরও ৭ ইনিংস পেরিয়েছে, সেঞ্চুরি তো পরের কথা ফিফটিও পাওয়া হয়নি মুমিনুলের। অবশেষে খারাপ সময় কাটিয়ে ওঠলেন বাংলাদেশ দলের টেস্ট অধিনায়ক। হাফসেঞ্চুরি তুলে সেটিকে পরিণত করলেন সেঞ্চুরিতেও। ১৪ ইনিংস পর তিন অংকের ম্যাজিক ফিগার ছুঁলেন দেশসেরা টেস্ট ব্যাটসম্যান।
সর্বশেষ মুমিনুলের ব্যাট থেকে সেঞ্চুরি ইনিংস এসেছিল ২০১৮ সালের নভেম্বরে। চট্টগ্রামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১২০ রানের ঝকঝকে এক ইনিংস খেলেছিলেন। ওই টেস্টটি জিতেছিল বাংলাদেশ। ম্যাচসেরা হন মুমিনুল।
তার ঠিক এক ইনিংস আগে এই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মিরপুরেই ১৬১ রানের ইনিংস খেলেছিলেন মুমিনুল। ওই টেস্টেও বড় জয় পায় টাইগাররা।
বাঁহাতি এই ব্যাটিং জিনিয়াসের ফর্মে ফেরা সেঞ্চুরিতেও কি আরেকটি জয় ধরা দেবে। হারতে হারতে কোণঠাসা বাংলাদেশের যে একটি জয় খুব দরকার!