১০০ ডলারে পৌঁছবে জ্বালানি তেলের দাম

স্টাফ রিপোর্টার

রেকর্ড চাহিদার কারণে আগামী ২০২৩ সালের মধ্যে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ১০০ ডলারের গণ্ডি স্পর্শ করতে পারে। নভেল করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের সংক্রমণ প্রবাহ সত্ত্বেও পণ্যটির বাজারদরে এমন ঊর্ধ্বগতির কথা জানিয়েছে গোল্ডম্যান স্যাকস।

নিউইয়র্কভিত্তিক বিনিয়োগ ব্যাংকিং ও অর্থ সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানটির জ্বালানিবিষয়ক গবেষণা প্রধান ডেমিয়ান করভালিন বলেন, বিশ্বে ওমিক্রন শনাক্তের আগেই অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের চাহিদা রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে। নতুন করে জেট জ্বালানির চাহিদায় উল্লম্ফন দেখা দিয়েছে।

তিনি আরো বলেন, কভিড-১৯ সংক্রান্ত নানা উদ্বেগ-উত্কণ্ঠা থাকলেও বৈশ্বিক অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধি থেমে নেই। ফলে জ্বালানি পণ্যটির চাহিদা দুই বছরের মধ্যে আকাশচুম্বী হয়ে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে। জ্বালানি তেলের বাজার পরিস্থিতি নিয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে ডেমিয়ান করভালিন বলেন, ওমিক্রনের এ সংক্রমণ প্রবাহ শেষ হওয়া পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। তবে চাহিদা বৃদ্ধির জন্য আগামী বছরের মধ্যেই আন্তর্জাতিক ভ্রমণ খাতকে ওমিক্রনের প্রভাব কাটিয়ে আবারো স্বাভাবিক হয়ে উঠতে হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

করভালিন মনে করছেন, আগামী বছরের মধ্যে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের আন্তর্জাতিক বাজার আদর্শ ব্রেন্টের গড় দাম ৮৫ ডলারে পৌঁছতে পারে। তবে বাজার আদর্শটির দাম আরো ১০ ডলার বাড়ার ঝুঁকিও রয়েছে।

এদিকে জ্বালানি তেল রফতানিকারক দেশগুলোর জোট ওপেক বলছে, করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন জ্বালানি তেলের বাজারে খুব বেশি প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না। তাই আগামী বছর চাহিদা ও ব্যবহার কমার সম্ভাবনা নেই। জোটটি জ্বালানি পণ্যটির ব্যবহার মহামারীপূর্ব ঊর্ধ্বমুখী ধারায় ফিরে যাওয়ার যে পূর্বাভাস দিয়েছিল, তাতে অটল।

গত মাসে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম ওমিক্রন শনাক্ত হয়। তখন অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের চাহিদায় ধস নামার আশঙ্কায় দরপতন ঘটে। তবে চলতি মাসে আবারো কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী হয়ে উঠেছে পণ্যটির দাম। ফলে বাজার পরিস্থিতি নিয়ে আশাবাদী হয়ে উঠেছে ওপেক। যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, বিশ্বকে উচ্চমাত্রার ঝুঁকির মধ্যে ঠেলে দিয়েছে ওমিক্রন। এটি করোনার অন্য যেকোনো ধরনের চেয়ে ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে।

সম্প্রতি মাসভিত্তিক প্রতিবেদনে ওপেক জানায়, আগামী বছরের প্রথম প্রান্তিকে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের বৈশ্বিক চাহিদা গড়ে দৈনিক ৯ কোটি ৯১ লাখ ৩০ হাজার ব্যারেলে পৌঁছতে পারে। গত মাসের পূর্বাভাসের তুলনায় চাহিদার পরিমাণ দৈনিক ১১ লাখ ১০ হাজার ব্যারেল করে বাড়ানো হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *